‘হাইকোর্টের রায় হয়েছে সরকারের ইচ্ছায়’

দণ্ড স্থগিত না হলে ভোটে দাঁড়ানোর যোগ্যতা থাকবে না বলে উচ্চ আদালতের রায় সরকারের হস্তক্ষেপে এসেছে বলে অভিযোগ করছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে ঠেকাতে চাইছে।
বিএনপির পাঁচ নেতার আবেদনের পর মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) এক রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেই ভোটে দাঁড়ানো যাবে না। দণ্ড বাতিল অথবা স্থগিত হতে হবে এবং জামিন পেতে হবে।
বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, আবদুল ওহাব ও মশিউর রহমান সাজা স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়। আর এই রায়ের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ভোটে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আদালতের এমন রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রায়ে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফল ঘটেছে। ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচন থেকে প্রতিহত করার জন্যই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে।’
গুলশানে দলের প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফখরুল। বলেন, ‘যড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার এ চক্রান্ত জনগণ মানবে না।’
শরিকদের মধ্যে কে কতগুলো আসনে পাচ্ছে এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টকে মিলিয়ে ৬০টির বেশি আসন দেওয়া হবে না। আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এমএ