ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


বিএনপি এখন চারটি কথায় সীমাবদ্ধ: তথ্যমন্ত্রী


৯ জুলাই ২০২৩ ২২:৫৮

ছবি সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি এখন চারটি কথায় সীমাবদ্ধ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও তারেক রহমানের শাস্তি। কিন্তু এর বাইরে দেশের জনগণ নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই।

রবিবার (৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা-বাইসস আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত বারবার বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এর অর্থ জনগণ ও জনগণের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করা, জনগণকে তোয়াক্কা না করা। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কাছে অনুনয়-বিনয় করা দেশবিরোধী অপতৎপরতা।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিবিদ ধরনা দেবে জনগণের কাছে। যারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে তারা জনগণের কাছে ধরনা দেবে। কিন্তু  জনগণের কাছে ধরনা না দিয়ে রাত-বিরাতে বিএনপির তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। এটি দেশবিরোধী অপতৎপরতা।’

‘আমাদের ভেতরে যদি রাজনৈতিক মতদ্বৈততা বা মতবিরোধ থাকে সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা না করে বিদেশিদের কাছে নিয়ে যাওয়াও দেশবিরোধী অপতৎপরতা এবং এই কাজটি বিএনপিসহ তার মিত্ররা করছে,’ উল্লেখ করেন তিনি। 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা বাড়লো কি বাড়লো না, গায়ের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা, সেটি নিয়ে বিএনপি ব্যস্ত। জনগণ নিয়ে তারা ব্যস্ত নাই।’

এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনগুলোতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেভাবে হয়েছে সেটি শুধু দেশের জন্যই নয়, এই উপমহাদেশের জন্য উদাহরণ। ক’দিন আগে পশ্চিমবাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন, আমাদের দেশে সেটি হয়নি। 

তিনি বলেন, ‘গত সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল বিএনপির ওপর একটি চপেটাঘাত। কারণ বিএনপি নির্বাচনে শুধু অংশগ্রহণ করেনি তা নয়, তাদের নেতাকর্মী-সমর্থকদের নির্বাচন বর্জন করতে বলেছে। কিন্তু তাদের আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে।’

‘এখান থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন কারণ আগামী নির্বাচন বিএনপি বর্জন করতে পারে, জনগণ তা করবে না, জনগণ অংশ নেবে’, হুঁশিয়ারি দেন হাছান।  

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদেরকে তৃণমূলের নেতা হিসেবে তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী তাদেরকে বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ অনেকটা আপনাদের ওপর নির্ভর করে। তাই অনুরোধ জানাবো, গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ুন, আগামী নির্বাচনে যেন জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে, সেটির প্রচারণা করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি যেন অব্যাহত থাকে, সেটির পক্ষে প্রচার করুন।’

সেইসঙ্গে যারা দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত, দেশের সম্মানহানি করে বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে, তাদেরকে বর্জন করুন, নিজেদের সংগঠনকে সুসংগঠিত করুন, পরামর্শ দেন হাছান মাহমুদ। 

সংগঠনের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলনের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ, টেকনো মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. যশোদা জীবন দেবনাথ (সিআইপি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলীও। প্রাসঙ্গিক বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাইসসের মহাসচিব এম সাইফুল ইসলাম মোয়াজ্জেম।