ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


গ্রেনেড হামলার খালেদারও বিচার হওয়া উচিত: হাছান


৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:০৭

আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রেনেড হামলার মামলায় খালেদা জিয়াকেও অবশ্যই বিচারের ও শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে কোন র্নিবাচন চান না, তারা একটি বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। বিশেষ পরিস্থিতিতে যারা ফায়দা লুটে তারাও বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে রক্ষার জন্য ব্যাস্ত রেয়েছেন ।তারা বলেন, ম্যাডাম জানতেন না।

শেখ হাসিনার জীবনের ঝুঁকির সময়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আশেপাশের বিলডিংয়ে উঠে পাহারা দিতেন।সেই সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নেতাকর্মীদের বিলডিংয়ে ছাদে উঠতে দেয়নি এবং গ্রেনেড হামলার পর আহতদের উদ্ধারে সাধারণ মানুষ এগিয়ে এলে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। আলামত নষ্ট করা হয়।
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেনেড হামলা হলো সেটা তিনি জানতেন না?

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন তারেক রহমান সরকারের প্রতিহিংসার শিকার। সে করনে তাকে গ্রেনেড হামলা মামলায় জড়ানো হয়েছে। সমাবেশ করার ৪দিন আগে তারা অনুমতি পেয়েছেন। ৪ দিন আগে অনুমতি পাওয়ার পর সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের জড়ো করেও আশানুরূপ সমাবেশ করতে পারেনি। এজন্য আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম যারা সমাবেশ করার জন্য অর্থ দিয়েছিল তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবের ওপর নাখোশ হয়েছেন।

তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার আমার শরীরে এখনো ৪০টি স্প্লিন্টার আছে। গ্রেনেড হামলার পর সেরকমই মানসিক অবস্থা ছিল। আমি একজন এই গ্রেনেড হামলার ভিকটিম হিসেবে তারেক জিয়াসহ যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করছি। খালেদা জিয়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকায় তিনি এর দায় এড়াতে পারেন না।

তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় এই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল এমন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তা সাক্ষ্য থেকেই স্পষ্ট হয়েছে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।

২১ আগস্ট ব্যবহৃত গ্রেনেড এগুলো ছিল আর্জেস গ্রেনেড, এগুলো যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এগুলো সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় এই গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করা হয়েছিল।

এসএমএন