প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ নেতার খোলা চিঠি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’কে উদ্দেশ্যে করে মনের মাধুরী দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক খোলা চিঠি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ- সভাপতি ও তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শরীয়তপুর জেলার কৃতি সন্তান ফাহাদ হোসেন তপু। তিনি তার ভেরিফাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে ১৬ই নভেম্বর শনিবার সকালে এই খোলা চিঠি পোস্ট করেন। নিচে চিঠিটি নিচে তুলে ধরা হলো…..
প্রিয় নেত্রী মমতাময়ী মা জননী শেখ হাসিনা, আপনার কাছে একজন ক্ষুদ্র কর্মীর খোলা চিঠি—যে সকল লোক বংশ পরিচয়হীন এবং তাদের বাপ-দাদার ব্যক্তিগত তেমন কোন সম্পদ কিছু ছিল না, কিন্তু হঠাৎ করে ঢাকা শহরে এসে তারা কিভাবে রাতারাতি কোটি কোটি টাকা, বাড়ি-গাড়ি ফ্লাট সহ এত সম্পদের মালিক হলো? প্রিয় নেত্রী মমতাময়ী মা, শুধু সম্রাট, জি কে শামীমরাই নয়, তাদের মত আরো অনেক জি কে শামীম আছে কিন্তু তাদের টা কেউ দেখেও দেখে না। কেউ বলে ও না। আসলে আপনি ছাড়া এই দলের প্রতি কারো কোন মায়া নাই। তাই আপনি দয়া করে একটু তদন্ত করে তারপরে তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাবেন। এটা আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করছি।আমি ফাহাদ হোসেন তপু মিয়া চন্দ্রপুর হাই স্কুল হতে চন্দ্রপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই সেই কিশোর বয়সে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার পিতা সমতুল্য বড় ভাই ইকবাল হোসেন অপু। তারপরে আমি শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করি স্কুল জীবনে থাকাকালীন সময়ে সেই ২০০২ সালের আগে। কিছুদিন পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের তথ্য-গবেষণা সম্পাদক এবং আমি পরবর্তীতে আমি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হই। সেই সময়ে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আমাকে সহ-সভাপতির পদে নির্বাচিত করেন এবং আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করি। এরপরে কয়েক মাস আগে প্রিয় নেত্রী আপনি আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি দায়িত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং করে যাবো যতদিন পর্যন্ত এই দায়িত্বে থাকবো ইনশাআল্লাহ্। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই আন্দোলন সংগ্রামের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ২০০১ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোট এবং উগ্র সংগঠন শিবির ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যুক্ত থেকেছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সততা এবং নিষ্ঠার সাথে লড়াই-সংগ্রাম করে যেতে চাই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যেতে চাই। প্রিয় নেত্রী, একজন সৎ মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করা যে কতটা শান্তির, কতটা গর্বের এটা আমি আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই ইকবাল হোসেন অপু ভাইয়ের কাছ থেকেই শিখেছি। প্রিয় নেত্রী আমার টাকা-পয়সা বা সম্পদের প্রতি কোন ধরনের লোভ নাই। সৎ মানুষের মূল্য আমি বুঝি। তাই সেই শুরু থেকে আজও সততার সাথেই পথ চলতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রিয় নেত্রী আপনি আমাকে খুশি হয়ে যা দিয়েছেন, তাতেই আমি কৃতজ্ঞ আমার আর চাওয়ার কিছু নাই।তবে প্রিয় নেত্রী মমতাময়ী মা, আপনার কাছে আমার একটাই দাবি- যেসকল লোক সুবিধাবাদী এবং আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, তাদের দিকে আপনার একটু খেয়াল রাখার জন্য প্রিয় নেত্রী আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে কোনদিন এই আওয়ামী লীগের পাশে ছিল না, শুধু সুসময়ে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে এবং যারা সত্যিকারের নিবেদিতপ্রাণ/ত্যাগী কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করতে জানে না আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে পাশে থাকতে পারে না, তাকে/তাদেরকে আওয়ামী লীগ এবং অন্য কোন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চাইনা। এটা প্রিয় নেত্রী আপনার কাছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমি জোর দাবি জানাচ্ছি। আপনার ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী আমি ফাহাদ হোসেন তপু মিয়া মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পাশে থাকবো, আপনার পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ্।জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা।