ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


সংবাদপত্রে ৬ দিন মিলতে পারে ঈদের ছুটি, ঘোষণা শনিবার


৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৫৩

সংগৃহীত

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে ৬ দিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর ২৯ রমজান থেকে ঈদে তিন দিনের ছুটি ভোগ করেন সংবাদকর্মীরা।

রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে এই ছুটি চার দিনে পরিণত হয়। সে হিসাবে ৯ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছুটি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পর ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ হওয়ায় ফের সরকার নির্ধারিত ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম।

এ জন্য ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

শনিবার নোয়াবের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। ফলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা ৬ দিন ছুটি পেতে পারেন সংবাদকর্মীরা।

সূত্র জানায়, ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার বিষয়ে নোয়াবের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন। তা ছাড়া এদিন পত্রিকা প্রকাশ হলেও সংবাদপত্র বিপণন সংস্থা সংবাদপত্র হকার্স কল্যাণ বহুমুখী সমিতি তা বিপণনে অপারগতা জানিয়েছে।

অন্যদিকে ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নও (ডিইউজে) নোয়াবের কাছে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী সমকালকে বলেন, ঈদের ছুটি চিরাচরিত। একইভাবে পহেলা বৈশাখের ছুটিও। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির এক দিন পরই পহেলা বৈশাখ।

তাই সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পান, সেই আবেদন আমরা নোয়াবের কাছে জানিয়েছি। এতে কর্মীদের কর্মস্পৃহা আরও বাড়বে। তাছাড়া গণমাধ্যমে ছুটিও এমনিতে অনেক কম। আশা করছি, নোয়াব সংবাদকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে সচেষ্ট হবে।

তিনি জানান, ঈদের ছুটি ৬ দিন হলে এটি অনন্য রেকর্ড হবে। স্বাধীনতার পর আর কখনও সংবাদমাধ্যম ৬ দিন বন্ধ থাকেনি।

জানতে চাইলে নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এবার ঈদের ছুটির মাঝে এক দিনের ব্যবধানে যেহেতু পহেলা বৈশাখ পড়েছে, তাই মাঝের এক দিন বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কিনা– তা নিয়ে নোয়াবে আলোচনা হচ্ছে। শনিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

সংবাদপত্রের ছুটি প্রসঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি ও সমকাল সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, সংবাদপত্রে এক সময় কোনো ছুটি ছিল না। ঈদের দিনও পত্রিকা প্রকাশ হতো।

স্বাধীনতার পর সত্তরের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের উদ্যাগে সংবাদপত্রে ছুটির প্রচলন শুরু হয়। তবে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় গণমাধ্যমে এখনও ছুটি অনেক কম।

নতুনসময়/এএম


ঈদুল ফিতর, পবিত্র, সংবাদকর্মীরা, পহেলা বৈশাখ, ছুটি, নোয়াব