ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


বিশ্ব পানি দিবস আজ


২২ মার্চ ২০২৪ ১০:৪৬

প্রতিকি

আজ ২২ মার্চ (শুক্রবার) বিশ্ব পানি দিবস। বৈশ্বিক স্থিতাবস্থা, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতকল্পে পানির অপরিহার্য ভূমিকার বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ব পানি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শান্তির জন্য পানি’।

মূলত পানির গুরুত্বকে তুলে ধরতেই এই দিবস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস’ পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে দিবসটির গুরুত্ব ক্রমেই বাড়তে থাকে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মানুষসহ পৃথিবীর প্রাণিকুলের জীবনধারণের জন্য পর্যাপ্ত, বিশুদ্ধ, নিরাপদ ও সুপেয় পানি অপরিহার্য। দুষ্প্রাপ্যতা ও দূষণের ফলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ পর্যাপ্ত এবং সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পানির সুষম প্রাপ্যতা নিশ্চিতে পানি সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎস থেকে ভোক্তা অবধি পানির ন্যায়সঙ্গত বণ্টন ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং পানি সম্পদের পরিমিত ব্যবহার, সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনার বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বাড়াতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘পানি’ শান্তি কিংবা সংঘাত ঘটাতে পারে। পানির অসম বণ্টন বা দুষ্প্রাপ্যতা উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করে। সুষম পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সমৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহজতর হলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ এবং পানি সম্পদের ওপর এর প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতামূলক মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানির প্রতিটি ফোঁটার সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করতে পারে পানির সর্বজনীন ন্যায়ভিত্তিক বণ্টন ও ব্যবস্থাপনা।

পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন একে অন্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। আবহমানকাল থেকে পানি আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। তাই টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পানি সম্পদকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। পানির পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনাই আমাদের জলবায়ু ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করাসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদী।

তিনি বলেন, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পানি ব্যবহার শৃঙ্খলা প্রবর্তনের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে পানি আইন, জাতীয় পানি নীতি ও পানি বিধিমালা প্রণীত হয়েছে।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় নদী ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও নিষ্কাশন, নদীতীর ভাঙন প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। এ ছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে বন্যার পূর্বাভাস সংবলিত প্লাবন মানচিত্র ও আগাম সতর্কবার্তা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে, যা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।