ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কাঁচাবাজার


১০ মে ২০১৯ ০২:৫১

নতুনসময় ছবি

রাজধানীতে কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কাঁচাবাজার গুলো। সারকার থেকে বাজারে দ্রব্য মূল্যে নির্ধারণ করা হলেও মানছে না বিক্রেতারা । বিক্রেতাদের অভিযোগ পথে পথে চাঁদা বাজির কারনে বিক্রি করতে হয় বেশি দামে ।

বৃহস্পতিবার (৯মে) ১৭নং ওয়ার্ডের জোয়ার সাহারা, নর্দ্দা , বসুন্ধরা, কুড়াতলী, খিলক্ষেত বাজারে সরজমিনে গিয়ে এই রকম চিত্র দেখা যায় ।

এদিকে, সরকারের কোন নজরদারি নেই বাজারে । তাদের নজর লুটপাটে। বর্তমানে রমজান মাসে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। স্বল্প আয়ের মানুষ রমজানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। রোজার মাসের জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশন গরু ও খাসির গোস্তের দাম কেজি প্রতি যথাক্রমে ৫২৫ ও ৭৫০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর গোস্ত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ এবং খাসির গোস্ত ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা এর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত খাজনা ও সরকারী লোকজনের চাঁদা আদায়কে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, পশুর হাটে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে প্রতি কেজি মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এই চাঁদাবাজির অর্থ যাচ্ছে সরকারের ওপর মহলে। আওয়ামী সিন্ডিকেট পবিত্র রমজান মাস এলেই দ্রব্যমুল্য বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করে ফেলে। সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকেনা।

এদিকে একজন গরু মাংস বিক্রেতা সজীব নতুন সময়কে বলেছেন, ভাই আমরা কি করবো ? আমরা যেই টাকা দিয়ে গরু কিনে নিয়ে আসি এর থেকে কম দামে বিক্রি করতে হলে আমাদের ক্ষতি হবে।আমাদের ব্যাবসায় বন্ধ হয়ে যাবে । যদি সরকারের তরফ থেকে আমাদের সাহায্য করা হয় এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করা হয় তাহলে সরকারের নির্ধারিত দাম থেকে ও কম বিক্রি করতে পারবো।

অপর একজন সবজি বিক্রেতা কামাল নতুন সময়কে বলেন, আমরা যদি সরাসরি পাইকারের কাজ থেকে দ্রব্য কিনতে পারি তাহলে কম দামে বিক্রি করতে পারবো। কিন্তু পথে পথে চাঁদা আছে, আরও কিনতে হয় আমাদের কয়টা হাত ঘুরে। তাহলে আমরা কিভাবে সরকারের দেওয়া নির্দিষ্ট দামে বিক্রি করবো। এর জন্য আমরা সরকারের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করি।

মাংস বাজার থেকে তোলা ছবিটি

সাগর হোসেন একজন ক্রেতা নতুন সময়কে বলেন, আমার স্বল্প আয়ের মানুষ ।এই রমজান মাসে দ্রব্য মূল্যের এত বৃদ্ধি যা আমার কোন ভাবেই তাল মিলাতে পাচ্ছি না। বর্তমানে আমাদের জীবন জাপন করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে ।

অপর একজন ক্রেতা মাসুম নতুন সময়কে বলেন, আমি বাজার করতে ৫০০টাকা নিয়ে আসছি । কিন্তু কিভাবে কি করবো বুঝতেছিনা। মাছ কিনলে সবজি কেনার টাকা নেই, সবজি কিনলে মাছ কিনার টাকা নেই। আর গরু, মুরগি, খাসি, বড় মাছ এই গুলো চিন্তা করা যায় না। আমার তো ভাই মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ আমাদের অনেক হিসাব করে চলতে হয় ।

এই রমজান মাসে বাজারে দ্রব্য মূল্যের স্থিতিশীল রাখতে ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুজনই সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেন। যেন মানুষ তাদের জীবনে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করতে পারেন।’

নতুনসময়/আল-এম,