আজহারের মৃত্যু পরোয়ানা ট্রাইব্যুনালে, সোমবার যাবে কারাগারে
-2020-03-15-17-49-03-2020-03-15-21-11-34.jpg)
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যু পরোয়ানা সোমবার (১৬ মার্চ) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (১৫ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমিত কুমার দে জানান, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি রোববার বিকাল পাচঁটার পরে ট্রাইব্যুনালে এসে পৌঁছায়। এ কারণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সোমবার সকালে ট্রাইব্যুনালের আদেশ প্রাপ্তির পর মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
রোববার বিকালে এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ‘রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন করা না হলে ফাঁসি কার্যকরের আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
এটিএম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘আমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কপি পাইনি। রাযের কপি পেলে রিভিউ করবো।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৩১ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পেয়েছেন আজহার। ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় তাকে। আর আপিল বিভাগ তার রায়ে ২, ৩, ৪ নম্বর অভিযোগে (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগে দণ্ড বহাল রাখেন। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
এআর