ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ট্যাবলেট খাইয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ


২৭ আগস্ট ২০১৯ ০১:২১

ফাইল ফটো

ধর্ষণের শিকার হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলের আইসিইউতে দু’দিন থাকার পর মৃত্যু হয়েছে কলেজ ছাত্রী ইয়াসমিনের (২৪)। সে নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার খামারহাটি গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে।

রোববার (২৫ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহের তারকান্দা উপজেলায়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নেত্রকোনা সদর উপজেলার শ্রীপুর বালী গ্রামের মৃত হাশেম উদ্দিনের ছেলে আলমগীরকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পূর্বধলা থানার ওসি মো. তাওহীদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, গত ২১ আগস্ট বেড়ানোর কথা বলে নেত্রকোনা আবু আব্বাস কলেজের ডিগ্রীর শিক্ষার্থী ইয়ামমিনের ফুফাতো ভাই এর চাচাত্ব ভাই এনজিও কর্মী আলমগীর তার কর্মস্থল ময়মনসিংহের তারাকান্দা নিয়ে যায়। পরে কোকের সাথে চেতনা নাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করালে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করলে অসুস্থ হতে থাকে ইয়াসমিন।

পরদিন গরমে অসুস্থ হয়েছে বলে ২২ আগস্ট ইয়াসমিনের মাকে খবর দিয়ে শ্যামগঞ্জ রেললাইন এলাকায় মায়ের হাতে তুলে দেয় মেয়েকে। এরপর নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে ময়মনসিংহে প্রেরণ করে। অবস্থার অবনতিতে দেখে তাকে আইসিউতে রাখা হলে গত রবিবার ইয়াসমনি মারা যায়।

এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা মোছা. নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে রবিবার রাতেই আসামি আলমগীরের নাম উল্লেখসহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত করে পূবর্ধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

নেত্রকোনা সদর থানার সহযোগিতায় রবিবার রাতেই আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে পূর্বধলা থানায় পুলিশ।