ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীর পরিচয় সনাক্ত

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপটল হিলে হামলাকারীর পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। হামলাকারী ইন্ডিয়ানা আঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা নোয়া গ্রিন (২৫)। কোন রাজনৈতিক মদদে নয় বরং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তবে এ নিয়ে আরও তদন্ত চলমান রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম উইলিয়াল ব্যালি। তিনি ১৮ বছর ধরে ক্যাপিটল পুলিশে কর্মকর্তা রয়েছেন। সূত্র সিএনএন।
নোয়া গ্রিনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্টাগ্রামের পোস্ট পর্যবেক্ষণ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা। সেখানে বিভিন্ন সময়ে দেয়া পোস্টে সরকার ও গোয়েন্দা বাহিনীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়াও চাকরি হারানো, চিকিৎসা করাতে না পারার মত ঘটনার কথাও শেয়ার করেছেন তিনি।
খবরে বলে হয়, হামলা চালানোর কয়েক ঘন্টা আগে তিনি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মার্কিন ধর্মীয় নেতা লুইস ফাররাখানের বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন যুক্তরাষ্ট্র সরকার কৃষ্ণাঙ্গদের প্রধান শত্রু। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে লুইস ফাররাখানকে নেয়া পোস্টে তাকে যিশু বলে মানতেন বলেও জানিয়েছেন। নোয়াকে ‘নেশন অব ইসলাম’ নামের একটি দলের সদস্য হিসেবে দেখা গেছে।
চাকরি হারানোর বিষয়টি উল্লেখ করে এর আগে একটি পোস্ট দেন তিনি। এজন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারকে দায়ী করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়ান্দা সংস্থা সিআইএ এবং এফবিআইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেও কয়েকটি পোস্ট দেন তিনি। ওই পোস্টের এক কমেন্টে গ্রিন গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে বাড়িতে একাধিকবার অনুপ্রবেশ, খাবারে বিষক্রিয়া, হামলা, হাসপাতালে অননুমোদিত অস্ত্রোপচার এবং চিন্তাশক্তি প্রভাবিত (মাইন্ড কন্ট্রোল) করার অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্ড্রো মেওয়ওকাস এক টুইট বার্তায় জানান, এখনও পর্যন্ত হামলা সম্পর্কিত অনেক বিষয়ই স্পষ্ট নয়। এ বিষয়গুলো উদঘাটনা পুলিশের সঙ্গে হোমল্যান্ড সিকিউরিটিও গভীর তদন্ত করছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২ এপ্রিল) হামলাকারী নোয়া গ্রিন গাড়ি নিয়ে ক্যাপিটল ভবনের দিকে যাওয়া কনস্টিটিউশন অ্যাভিনিউয়ে নিরাপত্তা প্রতিবন্ধক ভাঙার চেষ্টা করেন। এরপর তিনি ছুরি নিয়ে ক্যাপিটল হিলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলার চেষ্টা চালান। এসময় পুলিশ তাকে গুলি করলে নিহত হন তিনি। এই ঘটনায় আহত হন দুই পুলিশ সদস্য। যার মধ্যে একজন মারা গেছেন।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সেই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হন। এরপর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।