ঢাকা শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১


এবার করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির সুসংবাদ দিলেন মার্কিন গবেষকরা


৮ এপ্রিল ২০২০ ১৯:২৫

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ‘কাযকরী’ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর এবার এই ভাইরাসটির ওষুধ বা বড়ি তৈরির সুসংবাদ দিলেন মার্কিন গবেষকরা।

তাদের দাবি, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে, মুখে খাওয়ার এমন ওষুধ বা বড়ি নিয়ে পরীক্ষাগারে সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা।

এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের একদল গবেষক নতুন এ ওষুধ নিয়ে গবেষণা করেছে।

এই বড়ি টেস্টটিউবে মানুষের ফুসফুসের কোষের প্রতিলিপিতে করোনাভাইরাস বিস্তারে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে বলে মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া ইঁদুরের ওপরও এ ওষুধ নিয়ে তারা গবেষণা করে দেখেছেন যে, ইঁদুরের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করোনাভাইরাসকে পুনরুৎপাদনে বেশ কিছু দিন বাধা দেয়ার এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার প্রমাণ মিলেছে।

ওষুধটিকে গবেষকরা বলছেন, ‘ইআইডিডি-২৮০১’। এটি মূলত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উচ্চ সংখ্যায় পুনরুত্পাদন এবং সংক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে।

গবেষকরা বলছেন, তাদের তৈরি ওষুধটি এখনও মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। তবে এর প্রভাব যদি মানুষের ক্ষেত্রেও একই রকম হয়, তবে কোভিড-১৯ মহামারীর ক্ষেত্রে এটিই হবে প্রথম বড়ি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখে খাওয়ার ওষুধ বা বড়ি হিসেবে করোনার ওষুধ পেলে তা আশীর্বাদ হবে। কারণ শিরায় ইনজেকশন দেয়ার চেয়ে বেশি লোককে ওষুধ দেয়া সহজ হবে।

ইতিমধ্যে রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ওই ওষুধের লাইসেন্স নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ওষুধ পরীক্ষার জন্য অনুমতিও দিয়েছে।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ১০ রোগীকে ভাইরাস প্রতিরোধী ওই ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করা হবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করছেন।

নতুন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস।

তাদের দাবি, ইঁদুরের শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের পর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

চিকিৎসাবিষয়ক বিখ্যাত ল্যানসেট জার্নালে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে পিটসবার্গের স্কুল অব মেডিসিনে এ গবেষণা প্রকাশ হয়।

ভ্যাকসিনটি রোগের বিস্তারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে দ্রুত কার্যকর হতে পারে বলে গবেষকরা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন।

নতুন এই ভ্যাকসিনের তারা নাম দিয়েছেন ‘পিটকোভ্যাক’। যার পূর্ণরূপ পিটসবার্গ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন।

ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদন জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মানুষের শরীরে তারা ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারবেন।