ঢাকা বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১লা ফাল্গুন ১৪৩১

খালের বুকে ঠায় দাঁড়িয়ে কোটি টাকার সেতু


১০ জুলাই ২০২৪ ১১:৩১

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপজেলার সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ার কারণে কোনো কাজেই আসছে না কোটি টাকার সেতু। এ কারণে প্রায় দুই বছর ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে এই সড়কে। ফলে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া-চড়ারপাড়া সড়কের শিলখালী খালের ওপর নির্মিত হয়েছে এ পেন্ডির সেতু।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পেকুয়া উপজেলার খ্যাতিমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়সহ পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী, ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার একমাত্র চলাচলের মাধ্যম এ পেন্ডির সেতু। শিলখালী, বারবাকিয়া, পেকুয়ার একাংশের সহজ যাতায়াতের পথও এটি। কিন্তু গত দুই বছর ধরে সেতু নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সেতুটি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।

 

বর্তমানে সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। তাই বিকল্প কাঠের সেতু ব্যবহার চলাচল করতে হচ্ছে। এদিকে কাঠের সেতুও নড়বড়ে। ওই সেতু দিয়ে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থী পার হতে গিয়ে পা পিছলে অনেকেই খালে পতিত হচ্ছে।

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ওই পেন্ডির সেতুটি জরাজীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় ঐ খালের ওপর প্রায় ১ কোটি টাকার বাজেটে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায় চট্টগ্রামের নিপা এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। পুরোনো সেতু ভেঙে ২০২২-২৩ অর্থবছরের নতুন সেতু নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। যার ৮০ শতাংশ কাজ এইর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

 

শিক্ষার্থী জানান, বর্ষা মৌসুমে খালে পানি বাড়ায় মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছেন তারা। এ দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তারা।

 

শিলখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজীউল ইনসান জানান, সংযোগ সড়ক তৈরি করে দিলে আপাতত সেতুটি ব্যবহার করা যেত। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। সেতুর কারণে সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ায় এ এলাকার অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

 

শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহীম বলেন, কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সেতুটি নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়নি। স্কুলের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দ্রুত সেতুটি চালুর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছি।

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর পেকুয়া উপজেলা কার্যালয়ের প্রকৌশলী আসিফ মাহামুদ জানান, সেতুর অ্যাপ্রোজ সড়ক অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে সেতুর বাকি কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।