ভাড়াটিয়ার দ্বারা হয়রানির শিকার ব্যবসায়ী

ভাড়া দিয়ে উল্টো ভাড়াটিয়ার দ্বারা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন এক ব্যবসায়ী। এমনকি ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে তাকে দোকান ছেড়ে দিতে নোটিশ দিলেও তার কোন তোয়াক্কাই করছেন না। দোকান ছাড়তে হলে উল্টো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন ওই ভাড়াটিয়া। এমন অবস্থায় থানায় জিডিসহ সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হাতিরপুলের আটলান্টিক ওয়াজ উদ্দিন টাওয়ারের কিছু ফ্ল্যাট, বাণিজ্যিক অংশের ফ্ল্যাট ও দোকান সমূহ পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। ১ম তলায় ২নং দোকান ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর রবিউল আলমকে উচ্ছেদযোগ্য দোকান ভাড়া দেন। ওই ভাড়ার মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর শেষ হয়ে যায়। গত ১৬ অক্টোবর তার কাছে দোকান ছাড়ার নোটিশ পাঠাই। এতে সে কর্নপাত না করে আমার কাছে উল্টো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে দোকান ছাড়বেনা বলে নানা হুমকি দেয়। পাশাপাশি আমার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এতে আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে তিনি জানতে পেরেছেন রবিউল আলম একজন প্রতারক ও জালিয়াত চক্রের সদস্য। ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর ও ২০১৯ সালের ৩০ মে নোটারী পাবলিক এর চুক্তিপত্র জাল দলিল করে তার নামে ভুয়া তিনটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। যার নম্বর যথাক্রমে (১), নাম, রবিউল আলম, পিতা- মোখালেসুর রহমান, মাতা- জোবেদা বেগম, জন্ম তারিখ- ০৪/০৫/১৯৭৪ইং, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম- বিটার, ডাকঘর- বিটগর, থানা- নবীনগর, জেলা- বি-বাড়িয়া, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ২৬৯১৬৫১৬৫৬৫৮ (২) নামঃ রবিউল আলম, পিতা- মোখালেসুর রহমান, মাতা- জোবেদা বেগম, জন্ম তারিখ- ২৪/০৩/১৯৭২ইং, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম- বড় ভাটেরচর (৯নং ওয়ার্ড), ডাকঘর- বিটমধ্য ভাটেরচর ১৫১০, টেংগারচর, থানা-গজারিয়া, জেলা- মুন্সীগঞ্জ, জাতীয় পরিচয় পত্র নং-১৯৭২৫৯১২৪৮৪০০০০৩১ (৩) নামঃ রবিউল আলম, পিতা- মোখালেসুর রহমান, মাতা জোবেদা বেগম, স্থায়ী ঠিকানা- বাড়ী নং- ৪০৮/ই, ফ্রি স্কুল ব্রীট, হাতিরপুল, ডাকঘর- নিউ মার্কেট-১২০৫, জেলা- ঢাকা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৮৬৭১৫৭৯৮১৪।
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ওই ভাড়াটিয়া আমার ভাড়াকৃত প্রেমিসেসটিতে সংযোগকৃত বৈদ্যুতিক মিটার টেম্পারিং করাসহ অনিয়মিত ভাড়া প্রদান করায় আমি ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে ডিপিডিসি ট্যাক্সফোর্সকে জানালে তারা এসে তার অবৈধ লাইন দেখে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এতে আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রবিউল। এর ধারাবাহিকতায় রবিউল তার স্ত্রী রোজি, যুথিকা রানী আশরাফি, আব্দুল মান্নান, তার স্ত্রী রোকেয়া রওশন, আলমগীর, নাজমুল, মাসুদ রানা, দারোয়ান রহমত ও শামীমের সহায়তায় জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে দোকান দেখিয়ে আরো টাকা ঋণ নেয়। এছাড়া আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে। এ অবস্থায় আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরত পাওয়া ও রবিউলের কাছে পাওনা টাকা পেতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কমনা করছি।
তবে এ অভিযোগের ব্যাপারে রবিউল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।