খালেদের টর্চার সেলে নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর তথ্য

র্যাব খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তিনটি মামলা। অস্ত্র, মাদক ও মানিলন্ডারিং আইনে এ মামলাগুলো করা হয়। আদলতে রিমান্ডের আবেদন করলে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গুলশানের বাসা থেকে যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব। গ্রেপ্তারের সময় তার বাসা থেকে একটি শর্টগান, দুটি পিস্তল, শর্টগানের ৫৭ রাউন্ড গুলি ও ৭.৬৫ এএম এর ৫৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এছাড়া ৫৮৫ পিস ইয়াবা, ১০ লাখের বেশি নগদ টাকা ও সাত লাখের মত বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
খালেদের রুম নম্বর ৪০২: কমলাপুরে ৬৪-৬৮, ইস্টার্ন কমলাপুর কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের ৫ম তলায় ৪০২ নম্বর ফ্ল্যাটে খালেদের টর্চার সেল। নির্যাতনের শিকার এমন কয়েকজন ভুক্তভোগীর তথ্যের ভিত্তিতে চালালো অভিযানে খোঁজ মিলে এই কক্ষের। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে ওখানে ধরে আনা হতো। এছাড়া জমি বা ফ্ল্যাট নিয়ে দ্বন্দ্ব বা বিরোধ নিষ্পত্তিতে কোনো পক্ষ সম্রাট বা খালেদের কাছে অভিযোগ করলে অপরপক্ষের লোকজনকে ডাকা হতো টর্চার সেলে। সেখানে কথাবার্তায় সমাধান না হলে, ভাগ্যে জুটত ইলেকট্রিক শক। শক দেওয়ার সময় বেত ও বেসবল লাঠি দিয়ে পেটানো হতো। নির্যাতনের পর আপস বা মীমাংসায় রাজি হলে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হতো।
খালেদের টর্চার সেল থেকে ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন, ৫টি লাঠি, ২টি অস্ত্রের তেলের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, ১৯০ পিস ইয়াবা, ৫ ক্যান বিয়ার, ৭০০ গ্রাম সীসা, সীসা সেবনের জন্য ব্যবহৃত দেড় কেজি কয়লা, তিনটি মোবাইল, ২টি ল্যাপটপ ও নগদ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
নতুনসময়/আইকে