ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করলো ৫০ বছরের বাচ্চু


৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:১০

ছবি সংগৃহিত

প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স ৮। চঞ্চচলা ও হাস্যজ্বল মেয়েটি। তার বাবা পেশায় একজন সিএনজি চালক। মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করার স্বপ্ন বাস্তব করতে আর সংসার চালাতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থাকেন ঢাকার একটি বস্তি এলাকায়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার দাদা-দাদির সাথে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল ফকিরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া হাউজিং মাঠের বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। একই বাসায় ভাড়া থাকতো ওই এলাকার মৃত তারাব আলীর ছেলে মো. বাচ্চু (৫০) নামে এক অভিযুক্ত ব্যক্তি।

বাসায় ধর্ষিত ওই ছাত্রীর কেউ না থাকায় সেই সুযোগে গত রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) রুমে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বাচ্চু। এ সময় ভয়ে ডাক-চিৎকার করলে বাসার আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাচ্চু দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার বিষয়ে রাতে টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে তারা তাৎক্ষণিক মেয়েটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভর্তি করেন পুলিশ। এর আগে স্থানীয় সূত্রে মতে, ধর্ষণের বিষয়টি প্রথমে পারিবারিক সমাধান করার চেষ্টা করলে পরবর্তীতে সমাধান করা সম্ভব হয়নি বলে জানা যায়।

সরেজমিনে গত কাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেখা যায়, ধর্ষিত ছাত্রীটি বর্তমানে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভিকটিম রুমে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেই সাথে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে হেফাজতে রেখেছেন। ডাক্তররাও চিকিৎসা দিচ্ছেন সার্বক্ষণিক।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মেয়ের দাদা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে ও মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর রবিবার শিক্ষার্থীকে বাসায় একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বাচ্চু পালিয়ে যায়। বিষয়টি প্রথমে পারিবারিক সমাধান করার চেষ্টা করলে পরবর্তীতে সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পরে শিক্ষার্থীকে ২ সেপ্টেম্বর রাত ১২টায় চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিক্ষার্থী বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

ধর্ষিত ওই প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী বলেন, বাচ্চুকে দাদা বলে ডাকতাম। সে একই বাসায় থাকতেন। আমি দাদা-দাদির রুমে একা শুয়ে ছিলাম। সে সময় দরজা বন্ধ করে বাচ্চু দাদা আমাকে খারাব কাজ করে। তখন চিকিৎসার করলে মুখ চেপে ধরে। খুব ভয় পেয়েছি। আমি ওই লম্পটের বিচার চাই, ফাঁসি চাই।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর হেলাল ফকির বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করি।কিন্তু আসামি পলাতক থাকায় এখনো মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।পরে সোমবার শিক্ষার্থীর দাদা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমির হামজা বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ পাওয়ার পর শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. বাচ্চু পলাতক রয়েছে।