ঢাকা শনিবার, ৩রা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২

কিশোরীকে ধর্ষণ, পলাতক ধর্ষককে কৌশলে আটক করলো র‌্যাব


৩১ জুলাই ২০১৯ ০৫:৫৩

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে এক নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণ করে নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছাড়ার হুমকি দিয়ে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর সহায়তায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে মিমাংসার জন্য উঠেপড়ে লাগে বিশেষ মহল। মিমাংসার নামে অসহায় পিতার সাথে চলে প্রহসন। নিরুপায় পিতা জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে। মামলা দায়েরের পর প্রভাবশালী ধর্ষক পরিবারের হুমকির মুখে আরো অসহায় হয়ে পড়ে দরিদ্র পরিবারটি।

অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব ১১ সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমারের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু হয় গতরাতে। এলাকায় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে টিনের বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে যায় ধর্ষক সোহেল রানা (২৫)।

র‌্যাব সিপিসি ২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমারের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তায় আটক করা হয় মামলার অপর আসামী ধর্ষকের পিতা তাজুল ইসলামকে। মুল আসামীকে ধরতে কৌশলের আশ্রয় নেন তিনি। সোহেলের পরিবারও ছেলে ও মেয়ের বিয়ে করানোর জন্য বলতে থাকে। ধর্ষকের পরিবারকে বলা হয় ঠিক আছে, বিয়ে হলে ঝামেলা শেষ। চলতে থাকে অভিনয়, র‌্যাব কর্মকর্তাদের। ডাকতে বলা হয় কাজী ও হুজুরকে। মিষ্টি আনানো হয় বাজার থেকে, চলে চা ও মিষ্টি মুখ। কনে সাজানোর আয়োজন চলতে থাকে। এভাবে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পর পরিবার আশ্বস্ত হলে ভারত সীমান্তের ছয়গ্রাম থেকে বিয়ে করানোর জন্য গাড়ি পাঠিয়ে আনা হয় জামাইকে।

ধর্ষক সোহেল রানা বাড়িতে আসার পরই পাল্টে যায় পরিবেশ। রুদ্র মুর্তি ধারন করে র‌্যাব সদস্যরা। বিয়ে অফিসে নিয়ে পড়ানো হবে বলে আটক করা হয় ধর্ষক সোহেলকে। আসামীকে গাড়িতে তুলেই রওয়ানা হন র‌্যাব কার্যালয়ের দিকে। গতকাল সোমবার রাত ১২ টায় বুড়িচংয়ের ষোলনল ইউনিয়ন এলাকার পয়াত গ্রাম থেকে এভাবেই আটক করা হয় তাজুল ইসলাম এর ছেলে ধর্ষক সোহেলকে।