বলাৎকারের পর গলা কেটে হত্যা করা হয় শিশুটিকে

এবার আবির হুসাইন (১১) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকার করে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সকাল ৯টার দিকে কয়রাডাঙ্গার একটি আমবাগান থেকে ওই ছাত্রের মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। তবে, তার কাটা মাথা এখনও পাওয়া যায়নি।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্র আবির হুসাইন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী হোসেনের ছেলে এবং কয়রাডাঙ্গা নুরানী হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার নুরানী বিভাগের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত মাসের ১৫ তারিখে সে এই মাদরাসায় ভর্তি হয়।
মাদরাসার মুহতামিম মো. আবু হানেফ জানান, মঙ্গলবার এশার নামাজের পর থেকে আবিরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে খাদিমপুর মোড়ের ইটভাটার পাশ্ববর্তী আমবাগানে মাথাবিহীন একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে মাদরাসাতে খবর দেয় গ্রামবাসী। খবর পেয়ে আমবাগানে পৌঁছে পড়ে থাকা লাশ নিখোঁজ আবিরের বলে নিশ্চিত হই। এরপর থানায় জানানো হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার) জানান, মেডিক্যাল রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে আবিরকে বলাৎকার শেষে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা এর সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেথা হচ্ছে। তবে সারা দেশে যে ধরণের গুজব চলছে তার সঙ্গে এ ঘটনার কোন মিল নেই।