চুয়াডাঙ্গায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

চুয়াডাঙ্গায় ৭ বছরের এক শিশুকে চকলেট আর চিফস্ কিনে দেবার কথা বলে ধর্ষন করার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে ওই শিশুটি ধর্ষনের শিকার হয়। শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে গ্রাম থেকে পালিয়ে যান ধর্ষক মালেক (৫৫)।
পুলিশ জানায়, ধর্ষক মালেকের স্ত্রী বাড়িতে প্রায় সময় থাকে না। এই সুযোগে ছোট্ট ওই শিশুটিকে চকলেট চিফস্ দেবার কথা বলে মালেক ফাকা একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে। এসময় ওই শিশুকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিও দেখায় সে।
নির্যতিত শিশুটির মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বুধবার মেয়ে তাকে সবকিছু জানালেও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি তিনি। বৃহস্পতিবার মালেক আবারও মেয়ের উপর কুদৃষ্টি দিলে আমার মেয়ে তার উপর নির্যাতনের কথা সবাইকে বলে দেয়। ধর্ষনের ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে পালিয়ে যায় ধর্ষক মালেক।
সদর হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট ডাক্তার আকলিমা খাতুন বলেন ডাক্তারি পরীক্ষার পরই বিস্তারিত বলা যাবে কি হয়েছিল শিশুটির সাথে।
নির্যাতিত শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান। এসময় তিনি বলেন ধর্ষক মালেককে যে কোন মুহূর্তে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছেন।