২০ ছাত্রীকে ধর্ষণের বর্ণনা দিলেন শিক্ষক আরিফ
 
                                নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ব্ল্যাকমেইল করে ২০ এর অধিক স্কুলছাত্রী ও ছাত্রীর মাকে ধর্ষণের ঘটনায় অক্সফোর্ড হাইস্কুলের শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম ওরফে আরিফ অপরাধ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবীরের আদালতে এ জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ঘটনা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকার করে শিক্ষক আরিফ। শিক্ষার্থীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে গোপনে অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারন করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় এবং শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতো সে। এমনকি ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের নিস্তার দেয়নি আরিফ। ভিডিও ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতো তাদের।
গত ২৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকায় অবস্থিত অক্সফোর্ড হাই স্কুল থেকে শিক্ষক আশরাফুল আরিফ ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, আটককৃত শিক্ষক আশরাফুল আরিফের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিশজনেরও বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন স্কুলের নির্যাতিত সকল ছাত্রীর পরিবার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি দায়ের করে র্যাব।
নতুনসময়/এমএন

 
                 
                                                    -2019-06-05-12-27-15.jpg) 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        -2024-09-02-09-55-40.jpg) 
                                                         
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                            