ভোগান্তি উপেক্ষা করে আশুলিয়ায় ফিরছে কর্মমূখী মানুষ

যানবাহনের সংকট উপেক্ষা করে ভোগান্তির মধ্যে আশুলিয়ায় ফিরছে বিভিন্ন জেলার কর্মমূখী মানুষ। কর্মমুখী মানুষের পদচারণায় এ অঞ্চলের বাসস্ট্যান্ডগুলো আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে রিকশা, লেগুনা ও ইজিবাইকসহ ছোট-ছোট যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে এসব ঘরফেরা মানুষের।
আশুলিয়ার নবীনগর, বাইপাইল, শ্রীপুর, বিশমাইল, ডিইপিজেড, জামগড়া, জিরাবো ও আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন শাখা সড়কেও যানবাহন স্বল্পতায় ভোগান্তিতে পরছে কর্মমুখী মানুষ। এরফলে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
অপেক্ষামান যাত্রীর তুলনায় কাংক্ষিত পরিবহনের ব্যবস্থা না থাকায় নির্ধারিত ভাড়ার দশগুণ বেশী দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের শেষ গন্তব্যে।
অন্যদিকে ছোট-ছোট যানবাহন চালকরা দিচ্ছে খোড়া যুক্তি। তাদের দাবি এলাকার বিভিন্ন কলোনীতে যেতে হয়। ফেরার সময় কোন যাত্রী পাওয়া যায় না। তাছাড়া তাদের কোন ঈদ বোনাস না থাকায় বছরে দুইবার ঈদ বোনাস হিসাবে একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছেন।
ঈদের ছুঁটি শেষে বরিশাল থেকে ঢাকার আশুলিয়ায় ফেরা শামীম নামের এক পোশাক শ্রমিক বলেন, আমি সদরঘাট থেকে আব্দুল্লাহ পর্যন্ত ৫০ টাকার ভাড়া ১০০টাকা দিয়ে এসেছি। আর আব্দুল্লাহপুর থেকে নরসিংহপুর আসতে ১০টাকা বেশী দিতে হয়েছে।
খুলনা থেকে আসা সালমা বলেন, গাড়ি থেকে নবীনগর নেমে ভোগান্তিতে পরলাম। এখান থেকে আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে যেতে লেগুনায় ২০ টাকা ভাড়া চাচ্ছে ১০০ টাকা।
এরপরে কথা হয় লেগুনা চালক বেল্লালের সাথে। সে বলেন, ঈদের সময় যাত্রীর অনেক চাপ সে তুলনায় গাড়ি নেই তাই তারা ভাড়া কম হোক বেশি হোক যাবেই। তাছাড়া সবাই ভাড়া যা নিচ্ছে আমিও তাই নিচ্ছি।
মামা খালি গাড়ি আসতে হয় ভাড়া বেশি না নিলে খামু কি। আর আজকের দিনটাতেই একটু বাড়তি ইনকাম হইবো। সে আশায় তো ঈদে বাড়ি পর্যন্ত যাই নাই বলে দুলাল নামের এক রিকশা চালক জানায়।
এ ব্যাপারে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তাহমিদুল ইসলাম "নতুন সময়কে" বলেন, ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ এখনো আমরা পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।