আজও চার ঘন্টা বিলম্বে নীলসাগর এক্সপ্রেস, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আজও চার ঘণ্টা বিলম্বে যাত্রা শুরু করেছে ধারাবাহিক শিডিউল বিপর্যয়ে পড়া চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস।
সোমবার (৩ জুন) সকাল ৮ টায় কমলাপুর থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও এখনো না পৌছানোর কারণে চার ঘন্টা বিলম্বে দুপুর ১ টায় ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে। নীলসাগর ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে প্লাটফর্মে যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র চোখে পড়ে। ঈদের আগে ট্রেনটিকে নির্ধারিত শিডিউলে ফেরানো যাবে না বলে জানিয়েছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
নীলসাগর ট্রেনের যাত্রি আব্দুর রশিদ বলেন, ট্রেনটি এর আগে ২ দিন বিলম্ব হয়েছে। ভেবেছিলাম আজ হবে না তাই সকাল সকাল স্টেশনে এসেছি কিন্তু এসে দেখি ট্রেন এখনো পৌছায় নাই। আরও চার ঘন্টা লাগবে ছাড়তে। ঈদে বাড়ি যাবো একটা আনন্দ আছে কিন্তু ভোগান্তিতে পরে কোন আনন্দই মনে ধরছে না।
এছাড়া ঈদযাত্রার বিভিন্ন গন্তব্যের অন্যান্য ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ের সামান্য কিছু বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানায়, রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনটি ৩৩ মিনিট দেরিতে কমলাপুর থেকে রাজশাহীর দিকে যাত্রা করে। এছাড়া নীলসাগর এখনো ঢাকা এসে পৌছায়নি। ট্রেনটি দুপুর একটার দিকে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় বলা হচ্ছে।
প্রায় চার ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করেছে দ্রুতযান। আর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ২ ঘণ্টা দেরিতে।
ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেসটি ৩ ঘণ্টা দেরিতে যাত্রা শুরু করে। রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেসটি এক ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়বে।
এদিকে ছাদে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ ঠেকাতে গত কালকের মতো আজও তৎপর রয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, ৫২টি ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাবে সারাদিনে। উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে কিছুটা বিলম্ব হলেও চট্টগ্রাম সিলেট অঞ্চলে ট্রেনে কোনো বিলম্ব হয়নি। সারাদিনে অর্ধ লক্ষেরও বেশি যাত্রী বিভিন্ন ট্রেনে বাড়ির পথে পাড়ি জমাবেন বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার।