এক বউ নিয়ে দুই প্রবাসী স্বামীর হুলুস্থুল কাণ্ড!

এক বউ নিয়ে নোয়াখালীর সুধারামে দুই প্রবাসী স্বামীর হুলুস্থুল কাণ্ড শুরু হয়েছে। ওই গৃহবধূকে নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যেই চলছে টানাটানি। গৃহবধূ সিমুর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে। সিমু নামের ওই গৃহবধূ নোয়াখালীর সদর উপজেলার ২নং দাদপুর ইউনিয়নের হুগলি গ্রামের মো. ইব্রাহিম খলিলের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানায়, ২ সন্তানের জননী সিমু আক্তার (৩০) প্রথম স্বামী ওমান প্রবাসী মো. জহিরকে ২০১৮ সালের ৩রা জুন কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে তালাক প্রদান করে তার দুঃসম্পর্কের আত্মীয় মো. ইসমাইল ওরফে রাজুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রথম স্বামী প্রবাসে থাকা অবস্থায় সিমু প্রেমিকা হিসেবে মো. ইসমাইলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউজ ও আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। এরই এক পর্যায়ে, স্বামী ওমানে থাকা অবস্থায়ই ২০১৮ সালের ৩রা জুন নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে প্রথম স্বামী মো. জহিরের বাড়ির ঠিকানায় তালাকনামা পাঠায় সিমু। এরপর ২০১৮ সালে ডিসেম্বর মাসে ১৫ লাখ টাকা দেনমোহর শর্তে প্রেমিক মো. ইসমাইল ওরফে রাজুকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে।
এ বিষয়ে সৌদি আরব থেকে রাজু জানান, সিমু ১ম স্বামীকে তালাকের পরেই আমরা ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে কোর্ট ম্যারেজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে এফিডেভিট ও দস্তখত সম্পন্ন করি।
কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আমি নোয়াখালী জজ কোর্টের এক আইনজীবীকে ওই এফিডেভিট রেজিস্ট্রির সম্পূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে সৌদি আরব চলে আসি। পরে জানলাম স্ত্রীর প্রতারণার কারণে ওই এফিডেভিটটি রহস্যজনকভাবে রেজিস্ট্রি হয়নি। এদিকে সিমু এবং রাজুর প্রেমের ঘটনা জহিরের পরিবারে ফাঁস হয়ে গেলে জহির বিদেশ থেকে দীর্ঘ ৩ বছর সুমির সঙ্গে যোগাযোগ ও টাকা-পয়সা পাঠানো বন্ধ করে দেন। এই সুযোগে কৌশলে তার নিজের খরচ ও ছেলেমেয়েদের খরচ হিসাবে ইসমাইল ওরফে রাজু থেকে বিভিন্ন সময়ে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে রাজু ও তার পরিবার অভিযোগ করেছেন। এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিমুর প্রথম স্বামী ওমান থেকে দেশে ফিরে স্ত্রী সিমুকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে এনে বসবাস করছেন। অপরদিকে ২য় স্বামী সৌদি প্রবাসী রাজু কোর্ট ম্যারিজের দলিল রেজিস্ট্রি না করার কারণে সিমুর প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতারণার মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। রাজুর ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়ে দাদপুর গ্রামে একটি সালিশি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে স্ত্রী সুমি সালিশদারদের নিকট রাজু থেকে ৪ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানা গেছে।
নতুনসময়/এনএইচ