ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩২


অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল


১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১২

দেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া। একটি রাজনৈতিক দল আশঙ্কা করে তারা যদি ক্ষমতা থেকে ছিটকে যায় তাহলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে আর একটি রাজনৈতিক দল আশঙ্কা করে যে ক্ষমতায় আসতে না পারলে তাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রাজনৈতিক সংকট সংঘাত উত্তরণে জাতীয় সনদ প্রস্তাব নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকারে রেখে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হচ্ছে একচেটিয়া সরকার গঠন করা। কারণ তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়, সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় রেখে জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। বর্তমান দলীয় সরকারের অধীনে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে স্বনির্বাচিত সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে দেশে। এখন দেশের রাজনীতি চলে জনসাধারণের আওতার বাইরে সেখানে তারা দর্শক আর মাত্র আগে ভোট দেবার অধিকার ছিল এখন তাও হারিয়েছে।

নির্বাচন নিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার নির্বাচনে নিয়ে যে ভাষায় কথা বলছে তাতে বোঝা যাচ্ছে। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম আছে। এখানে কারোর কোন ব্যক্তি স্বাধীনতা প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নাই।

সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা বলেন, গণসংহতি আন্দোলন যে সনদের কথা বলছে এতে কোন দলের ক্ষতি হবে না। যারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। তাদের জন্য সামরিক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু জনগণের জন্য এটা মুক্তির সনদ হয়ে দাঁড়াবে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কারী আবুল হাসান রুবেল।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আব্দুর রশিদ নীলু, ফিরোজ আহমেদ, হাসান মারুফ রুমি, শ্যামলী সিলি, বাচন ভূইয়া প্রমূখ।

আইএমটি