ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২


রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক অসাধু ব্যবসায়ীদের দখলে


২৭ মে ২০১৯ ২০:৫৫

নতুনসময় ছবি

রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের কেশরহাটে চলছে মহাসড়কে দুপাশ দখলের হিড়িক। অসাধু ব্যবসায়িদের দখল বাণিজ্য ঠেকাকে নিরুপায় হয়ে পড়েছেন স্থানীয় পৌর প্রশাসন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নজরদারি চেয়েছেন এলাকাবাসি।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাড়কের যানজট নিরসনের জন্য সরকার সম্প্রতি সড়কে দুপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে।

চলমান ড্রেনেজের কাজ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে সড়কের দুইপাশ দখলের মহোৎসব। ইটবালি, বাশ, কাঠ ও চাঁদোয়া টাঙিয়ে দখল বানিজ্যে মেতে উঠেছেন একশ্রেীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। মহাসড়ক দখল রোধে গত তিনদিন ধরে নিয়োমিত মাইকিং করছে কেশরহাট পৌর প্রশাসন। এতে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নবনির্মীত ড্রেনেজ জুড়ে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেছে অনেক ব্যবসায়ীরা।

কিন্তু থানা পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের যেকোনো নজরদারি না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে এলাবাসির অভিযোগ।

সরেজমিনে ঘুরে আরো দেখা যায়, কেশরহাটের পরিচিত হাবিব বিহারি নামের পুরো হোটেলটি চলছে মহাসড়কের কার্পেটিং জুড়ে। আবার রাতে ঘর নির্মাণের জন্য পাশেই রাখা হয়েছে ইটবালি। যার ফলে মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে চরম যানজট। দখলের বিষয় জানতে চাইলে হোটেল মালিক রিয়াজুল ইসলাম বলেন সবাই পায়, সবাই খাই, সরকারী লোকেরাও খায় আপনি ছবি তুলে করবেন কি। কোনো লাভ হবে না।

কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি বলেন, একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের নীতিবোধ হারিয়ে ফেলেছে। মহাসড়কের যানজট নিরসনে সম্প্রতি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাস না যেতেই রাস্তার উপরে দখল বাণিজ্য শুরু করেছে। তারা এখন যেন আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৩ দিন ধরে নিয়োমিত মাইকিং দিয়েছি কিন্তু এতে নেই কারো কোনো গুরুত্ব। ইউএনওকে অবহিত করা হয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ছাড়া আর কোনোই উপায় দেখছি না। তবে জনস্বার্থে এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে সড়কের যানজট কমবে না বরং আরো বাড়বে।’

নতুনসময়/আল-এম