টেস্ট ক্রিকেটে দ্বি-স্তরের কাঠামো চালুর কথা ভাবছে আইসিসি

২২ গজের ক্রিকেটে বনেদী ফরম্যাটের নাম টেস্ট। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ভিড়েও আলাদাভাবে স্থান নিয়ে আছে ৫ দিনের এই খেলা। এবার টেস্ট ক্রিকেটে যুগান্তকারী পরিবর্তনের পথে হাঁটছে আইসিসি। দ্বি-স্তরের টেস্ট কাঠামো চালুর সম্ভাবনা যাচাইয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে সংস্থাটি।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় দেয়া হয় এই প্রস্তাবনা। যেখানে ৯ দলের ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ কাঠামো বদলে ৬ দলের দুটি ডিভিশনের প্রস্তাব বিবেচনায় আনা হয়েছে। ৮ সদস্যের এই ওয়ার্কিং গ্রুপে নেতৃত্ব দেবেন আইসিসি’র প্রধান নির্বাহী সঞ্জয় গুপ্ত। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা। এই পরিবর্তন বাস্তবায়িত হলে ১৩৩ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি হবে অন্যতম বড় সংস্কার।
প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে ২০২৭ থেকে ২০২৯ সালের ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র থেকে কার্যকর হবে নতুন চক্র। প্রস্তাব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত এই তিন দেশ একে অপরের সাথে নিয়মিতভাবে খেলবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এতে সম্প্রচার স্বত্ব থেকে আয়ের পরিমাণ বাড়বে তাদের। তবে এই কাঠামো ধনী তিন দেশের আধিপত্য আরও বাড়িয়ে দেবে বলে শঙ্কা ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেটের।
বর্তমান র ্যাকিং অনুযায়ী বড় তিন দেশের সাথে প্রথম ডিভিশনে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। আর বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, উইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে খেলবে দ্বিতীয় ডিভিশনে। পাশাপাশি এই বিভাগের দলগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ছোট দলগুলোর প্রতি বাড়তি নজর থাকছে ওয়ার্কিং গ্রুপের। এই কাঠামোর ফলে তারা যাতে ছিটকে না যায় সেটি বিবেচনায় রেখে নির্ধারণ করা হবে প্রোমোশন ও রেলিগেশন পদ্ধতি।