আইজিপির সোর্স দাবি করা রাব্বির দাপট

মাদক সেবন মামলায় হাজত থেকে বের হয়ে দামি মোটর সাইকেল কেনা-সহ নিজেকে পুলিশের মহা-পরিদর্শক(আইজিপির)সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাব্বি হাসান। তার নবজাতক সন্তানের নাম আইজিপি স্যার রেখেছেন এমন কথাও বলছেন অনেকের কাছে। আর এ সকল কথা শুনে এলাকার কিছু ভুক্তভোগী মানুষ এখন পুলিশী তদবির পেতে ছুটছে রাব্বির কাছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি মাসের ৪ তারিখ বাঘার নারায়নপুর গ্রামের আলোচিত রাব্বি সহ চার যুবককে মাদক সেবন করা অবস্থায় উপজেলার খানপুর থেকে হাফ বোতল ফেন্সিডিল, ২ পিচ ইয়াবা এবং দু’টি দামি মোটর সাইকেল সহ তাদের গ্রেফতার করে বাঘা থানা পুলিশ।এ ঘটনার ১৫ দিন পর হাজত থেকে বেরিয়ে আসে রাব্বি। অত:পর একটি দামি এ্যাপাসি মোটরসাইকেল কিনে পরদিন থেকে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করে সে। বর্তমানে অনেকের কাছে রাব্বি বলে বেড়াচ্ছে, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি, রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবং চারঘাট সার্কেলের এএসপির সাথে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
বাঘার খানপুর গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু এবং গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, তাঁদের এলাকা থেকে গত ৪ তারিখ যে চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তারা প্রত্যেকেই মাদক সেবনকারি ও ব্যবসায়ী এবং ইমো ও বিকাশ হ্যাকার হিসাবে পরিচিত। আমরা শুনেছি, তাদের ৪ জনের কাছে ৮ টি স্মাট ফোন ছিল। কিন্তু রহস্য জনক কারণে সেই ফোন গুলো জব্দ করেনি পুলিশ। অথচ এদের কারনে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং ধ্বংস হচ্ছে এলাকার যুব সমাজ।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাব্বির বাবা একজন ডে লেবার। অথচ তার সন্তান দামি মোটর সাইকেল এবং দামি স্মাট ফোন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বর্তমানে বাঘা থানায় নম্বর বিহিন তার যে মোটর সাইকেলচট জব্দ রয়েছে সেটির কাগজ সঠিক আছে-কি না তারও সন্ধেহ রয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকার সাধারণ জনগন। সে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার নামে অন্য এলাকা থেকে বাঘা সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে আসা অনেক মানুষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার সর্তে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রাব্বির নামে মাদক এবং চাঁদাবাজি-সহ বেশ কটি মামলা রয়েছে জেলার বিভিন্ন থানায়। সে নিজেকে পুলিশের সোর্স দাবি করে এবং এ-কথাও বলে যে, পুলিশের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে তার সু-খ্যাতি রয়েছে। তার এ সব কর্ম কান্ডের সাথে রয়েছে ১০-১২ জন সাঙ্গ-পাঙ্গ।
এ সব নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে রাব্বির সাথে সাংবাদিক পরিচয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে বাঘা থানা ইন্সেপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল বারি বলেন, রাব্বি সহ ৪ যুবক মাদক সেবন করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে চলতি মাসের ৪ তারিখ রাতে খানপুর এলাকার এক বাড়ী থেকে তাদের আটক করে ছিলাম। তাদের কাছে প্রায় ৭-৮ টি স্মাট ফোন ছিলো এ কথা সত্য। তবে ভুল বসত মোবাইল গুলো জব্দ করা হয়নি।