ঢাকা সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫, ১০ই আষাঢ় ১৪৩২


আ.লীগ নেতার বাড়িতে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার


২১ এপ্রিল ২০২১ ১৯:১০

সংগৃহিত

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ মাসুদ রানার বাড়ি থেকে জুতা ব্যবসায়ী হাসানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সদর থানার ওসি (তদন্ত) ও এএসআইকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওসি মাহফুজার রহমানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন পুলিশ সুপার।

জেলা পুলিশের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করলে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে তাদের প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মজিবর রহমান এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অপহৃত ব্যবসায়ী হাসান আলীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর অপহরণের সঙ্গে যুক্ত মাসুদ রানার জিম্মায় দেওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছে পুলিশের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।

মঙ্গলবার বিকেলে সেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে ওসি (তদন্ত) মজিবর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোশারফের কাজে গাফিলতি ও দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ ছাড়া পুরো ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ববস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজার রহমানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে পত্র পাঠানোর কথাও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল শনিবার জেলা আ.লীগ নেতা মাসুদ রানার বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে, গত ৫ মার্চ হাসান আলীকে অপহরণ করে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মাসুদ রানা।

টানা এক মাস মাসুদের বাড়িতে আটক অবস্থায় থাকার পর হাসানের মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর আগে মোবাইল ফোন থেকে ক্ষুদে বার্তায় স্বজনদের নির্যাতন আর থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে মিথ্যা অঙ্গীকার করার কথা জানান হাসেন আলী।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদকে আটক করে পুলিশ। পরে দল থেকে মাসুদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ঘটনার একদিন পর হাসানের স্ত্রী বিথী বেগম বাদী হয়ে মাসুদ রানা, রুমেন হক ও খলিলুর রহমান বাবুকে আসামি করে সদর থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাসুদ রানার পক্ষে প্রভাবিত হয়ে হাসানকে তার জিম্মায় দেওয়াসহ অভিযোগের সবকিছু তুলে ধরা হয়।