যুবলীগ নেতার দখল থেকে কোটি টাকার বনভূমি উদ্ধার

গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য কাইয়ুম সরকারের দখল থেকে এক একর বনভূমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। উদ্ধারকৃত বনভূমিতে মাছের খামার গড়ে তুলেছিলেন তিনি। আজ সকালে মাছের খামারে ভেকু দিয়ে মাটি ভরাট করে বন বিভাগ। ঢাকা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের গাজীপুর ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজল তালুকদার ও সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শ্যামল কুমার ঘোষ। অভিযানে অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বন বিভাগের গাজীপুর শ্রীপুর সদর বিট কর্মকর্তা সজীব কুমার মজুমদার, ভাওয়াল ও জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের কর্মকর্তা এবং স্টাফরা। অভিযানে জয়দেবপুর থানা পুলিশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করে।
ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, ভবানীপুর বিটে ৪ নম্বর বারুইপাড়া মৌজার সিংড়াতলী এলাকায় সিএস-১৮ নম্বর দাগের ১০০, ১০১, ১১১ ও ১৬০ নম্বর আরএস দাগের বনভূমিতে মাটি খনন করে মাছের খামার নির্মাণ কাজ শুরু করেন কাইয়ুম সরকারের লোকজন। পরে প্রাথমিক পর্যায়ে সীমানা নির্ধারণ ব্যতীত পুকুর খনন কাজে বাধা দেন ভবানীপুর বিট কর্মকর্তা। এতে কর্ণপাত না করে তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে খামার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যায়।
ভবানীপুর বিটে স্বল্প জনবল এবং বন দখলকারীদের উশৃঙ্খল আচরণের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশ এবং উপস্থিতিতে উচ্ছেদ অভিযান বাস্তবায়িত হয়। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।
সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার ঘোষ জানান, কাইয়ুম সরকার বিগত দিনে বনে ছয়টি পুকুর খনন করেন। সম্প্রতি আরও নতুন তিনটি পুকুর খনন কাজ শুরু করেন। অভিযানের পূর্বে সার্ভেয়ার দিয়ে তার দখলে থাকা এক একর বন ভূমি চিহ্নিত করা হয়। পরে উচ্ছেদের প্রথম পর্যায়ে ৫০ শতাংশ বনভূমিতে বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ রোপণ করা হয়। উদ্ধারকৃত বনভূমির বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত এক কোটি টাকা।