ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১


ইভটিজিংয়ের ঘটনায় সালিস, সংঘর্ষে নিহত ২


২৫ মার্চ ২০২১ ১৬:১৯

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় ইভটিজিংয়ের ঘটনা নিয়ে এক সালিসের বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ইমন পাঠান (২৩) ও সাকিব মিয়া (১৯)। আহতের নাম আওলাদ হোসেন মিন্টু (৪০)। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যরাও চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ দশজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় মাধ্যমে জানা গেছে, একটি ইভটিজিংয়ের ঘটনা নিয়ে অভি নামে এক তরুণের সঙ্গে ঝামেলা হয় ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা কাসেম পাঠানের ছেলে ইমন পাঠানের। ঘটনাটি নিয়ে অভিকে ডেকে চড়-থাপ্পড় দেন ইমন। পরে আবার মিন্টু নামে ইমনের এলাকার এক বড় ভাই অভিকে ডেকে চড়-থাপ্পড় দেন। গতকাল রাত ৯টার দিকে এ ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মিমাংসায় বসেন দুই পক্ষের লোকজন। মিন্টুর বাড়ির সামনে জামালের দোকান প্রাঙ্গণে সালিস বৈঠকটি হয়।

জানা গেছে, দুই পক্ষ মিলে ঘটনার মিমাংসা করেই ফেলেছিল। কিন্তু শেষ দিকে অভি গ্রুপের লোকজন আকস্মিক ইমন, সাকিব মিয়া ও মিন্টুকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই ইমন পাঠান নিহত হন। সাকিবের মৃত্যু হয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে।

মুন্সিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্তম কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, সৌরভ, অভি ও শামীম গ্রুপ এই হামলার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ এই তিনজনের কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত সৌরভের বাবা জামাল প্রধান রয়েছেন।

জানা গেছে, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ইমন পাঠানের পেটে ও বুকে জখম হয়। ইসলামপুর এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে সাকিবও পেটে ও বুকে আঘাত প্রাপ্ত হন। বুকে ও শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হন আওলাদ হোসেন মিন্টু। ওসি জানান, প্রথমে ছুরিকাহত তিনজনকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইমন পাঠানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। সাকিব ও মিন্টুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পথে সাকিব মারা যায়।

জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।