ঢাকা শুক্রবার, ৯ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


স্ত্রীকে কেটে ৭ টুকরা করলেন স্বামী


৮ মার্চ ২০২১ ১২:৩৮

ফাইল ছবি

গভীর প্রেম, এরপর বিয়ে। কাপড় ব্যবসায়ী জুয়েল আহমেদ ও পোশাক কারখানা শ্রমিক রেহেনা আক্তার দম্পতির সংসার ভালোই চলছিল। হঠাৎ করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া। এখানেই শেষ নয়, একপর্যায়ে ভয়ঙ্করভাবে স্ত্রীর গলা কেটে একে একে সাত টুকরা করে ফেললেন স্বামী জুয়েল!

পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক কোনো একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। জুয়েল স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেন। একপর্যায়ে স্ত্রী রেহেনা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখনই জুয়েল রেহেনার গলা কেটে ফেলেন। এরপর দেহটি কেটে কেটে সাত টুকরা করেন তিনি। বস্তায় ভরে রাতেই আবার টুকরাগুলো ময়লার স্তূপে লুকিয়ে ফেলেন।

এ ঘটনার তিনদিন পর রোববার দুপুরে নিহত রেহেনার মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। অভিযুক্ত জুয়েল গাজীপুর সদরের মণিপুর এলাকার জাকির হোসেনের ভাড়াটে।

আরও জানা যায়, নিহত রেহেনা সুনামগঞ্জের পলাশ ইউনিয়নের কাচিরগাতি গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। আর জুয়েল একই গ্রামের আবদুল বাতেনের ছেলে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের পর দুই বছর আগে বিয়ে হয়।

গাজীপুর সদরের মণিপুর এলাকার জাকিরের বাড়িতে ভাড়া থেকে রেহেনা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আর জুয়েলের ছিল ফেরি করে কাপড় বিক্রির ব্যবসা। গত বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়।

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, স্থানীয় এক যুবক ময়লার স্তূপে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। এদিকে ঘটনার পরদিন থেকেই জুয়েলের আচরণ সন্দেহ করছিলেন প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে জুয়েলকে আটক করলে ঘটনার বিস্তারিত জানান তিনি।

মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। এছাড়া এ ঘটনায় নিহত রেহেনার ভাই বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।