ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪শে জুন ২০২৫, ১১ই আষাঢ় ১৪৩২


পুঠিয়া পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনের কোটি টাকার প্রকল্পের হযবরল অবস্থা


৫ মার্চ ২০২১ ০৫:৪৫

সংগৃহিত

পুঠিয়া পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনের কোটি টাকার প্রজেক্টের হ জ ব র ল অবস্থা বিরাজ করছে। এ নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

সরজমিনে প্রজেক্ট স্থলে গিয়ে দেখাগেছে, পুঠিয়া পৌরসভার কাঁঠালবাড়িয় ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত সাইফুল ড্রাইভারের বাড়ি সামনে থেকে শুরু হয়ে অলস্কায়ার নার্সারীর শেষ পর্যন্ত রাজশাহী নাটোর মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বের দিয়ে পাকা ড্রেন নির্মিত হচ্ছে। পুঠিয়া পৌরসভার ত্রিমোহনী বাজার সংলগ্ন এলাকার ও তার আশে পাশের এলাকার জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য গত ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে পৌরসভা হতে একটি প্রকল্প গ্রহন করে।

প্রকল্প অনুযায়ী ত্রিমোহনী বাজারের উত্তর দিকে পুঠিয়া তাহেরপুর সড়কের পাতিল ডুবা বিল হতে পুঠিয়া বাসস্ট্যান্ড হয়ে পূর্ব দিকে ঝলমলিয়ার মুসা খাঁ নদী পর্যন্ত মাহসড়কের পার্শ্ব দিয়ে ড্রেন নির্মানে কথা বলা হয়। যার ফলে উক্ত এলাকার জনগোষ্টীর বাড়ির ব্যাবহৃত পানি এবং বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে মুসা খাঁ নদীতে পতিত হবে। এতে বর্ষার জলাবদ্ধতা হতে মুক্তি পাবে অত্র এলাকার মানুষ। প্রকল্পের শুরু হতেই দেখা যায় কোথাও কোথও বাদ দিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে খনন কাজ করা হয়। ড্রেনের পানি নিষ্কাশিত হবার পয়েন্ট পর্যন্ত খনন না করায় এবং পানি নিস্কাসিত হতে না পারায় আরো ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গের বাড়ি, প্রতিষ্ঠান রক্ষা করতে গিয়ে প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। এছাড়াও প্রকল্পের স্থানে প্রকল্পের প্রফাইল না থাকায় সাধারণ জনগন প্রকল্পটি সম্পর্কে ধারনা নিতে পারছেনা।

নির্মানাধীন ড্রেনটি মহাসড়কের থেকে প্রায় দুই থেকে তিন ফিট নিচু করা হয়েছে। এছাড়াও বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি যায়গায় স্লাব দেয়া হয়েছে। বাঁকি পুরো ড্রেনটির উপরিভাগ উন্মুক্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে। এতে করে ঐই এলাকার শিশুরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ড্রেনটি মহাসড়কের চেয়ে এক থেকে দেড় ফিট উ” করে পুরো ড্রেনটিতে স্লাব দিলে একদিকে যেমন মহাসড়কের পাশ দিয়ে চলাচলাকারী পথচারিরা ফুটপাত হিসেব ড্রেনটির উপরিভাগ ব্যবহার করতে পারতো অন্য দিকে মহাসড়কের পাশের জমির মালিকগণ তাদের বাড়ি অথবা জমিতে যাতায়াত সহজতর

বর্তমানে ড্রেনটি বেশিভাগ জায়গা উন্মুক্ত থাকায় এই সুবিধা থেকে এলাকারবাসী বঞ্চিত হচ্ছে। ড্রেনটির পুরো অংশ খনন করে জলাবদ্ধতা নিরশনের উপযোগী করার দাবি এলাকাবাসীর। এছাড়াও ড্রেনটি উপরিভাগের উন্মুক্ত অংশে স্লাব দেওয়ার দাবি তাদের। এ বিষয়ে পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন জানান, আমি এক মাস হলো পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহন করেছি। তাই এই প্রজেক্টের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। যদি এখানে কোন দুর্নীতি থাকে তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে।