কর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে সোহেলসহ আহত শতাধিক

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় কর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের অনেককেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১১টায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেন। পরে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে প্রেসক্লাবের মূল ফটক দিয়ে বাইরে বের হন।
এসময় পুলিশ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে তারাও পাল্টা ধাওয়া দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ নেতাকর্মীদেরকে লাঠি পেটা শুরু করে। এসময় আহত হয়ে রক্তাক্ত হওয়া ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুন খান নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে বসে পড়েন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। পরে পুলিশ আবার লাঠিপেটা শুরু করলে সোহেলও আহত হন।
এছাড়া আরও আহত হন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুন খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ঢাবির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাবির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হোসেন, ইডেন কলেজের সদস্য সচিব সানজিদা আক্তার তুলিসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।
এদিকে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান ব্রেকিংনিউজকে বলেছেন, ‘হাসপাতাল এরিয়া থেকে ৭-৮ জনকে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই করার পর বোঝা যাবে এরা কারা।’