পদ্মা পারের অপেক্ষায় ৮ শতাধিক যান
-2021-02-22-12-04-40.jpg)
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছে আট শতাধিক যান। টানা তিন দিনের সরকারি ছুটি শেষে ঢাকা ও আটরশি ওরশমুখী যাত্রীদের চাপে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব যানের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লাইনে আটকে থাকায় চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার সকাল নয়টার দিকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়ক ও রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা গেছে, একুশে ফেব্রুয়ারিসহ তিন দিনের সরকারি ছুটি ভোগ করতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া লোকজন রবিবার দুপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর ফলে দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে থেকে অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে বা রিকশায় লঞ্চ ও ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সকালে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের ফিডমিল পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার গাড়ির দীর্ঘ লাইন। কোথাও দুই লাইন, আবার কোথাও এক লাইনে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। অধিকাংশ যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী গাড়ি এবং ফরিদপুরের আটরশি ও চন্দ্রপাড়ার ওরশফেরত গাড়ি রয়েছে।
ঢাকামুখী বেশ কয়েকটি যানের যাত্রীরা জানান, রাত থেকে দৌলতদিয়া প্রান্তে সড়কে আটকে আছেন তাদের গাড়ি। ফেরির চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পদ্মা পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় লাগছে। কখন ফেরিতে উঠবেন সেটাও বলতে পারছেন না।
গাড়ির চালকরা জানান, তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা এভাবে নদী পারের অপেক্ষায় সড়কে আটকে থাকলেও এই সমস্যার সমাধান হয় না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. মাহবুব হোসেন বলেন, রবিবার দুপুরের আগে থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়ায়। আজও সে চাপ রয়েছে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।