প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঘুরতে নিয়ে এসে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাত জনের মধ্যে ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন লৌহজং থানা পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাতভর মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ফেব্রুয়ারী) রাতে লৌহজং যশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের উত্তর যশলদিয়া গ্রামের মাসুদ শেখের পুত্র অমায়িক (২৩), একই গ্রামের মৃত রহিম শেখের পুত্র রনি শেখ (২৪), শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সোবাহানদি মাদবরকান্দির চাঁন মিয়া শেখের পুত্র জীবন শেখ (২৫), শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামের মো. মাসুদ আলী শেখের পুত্র আদনান (১৯), মৃত শাকিব হোসেনে পুত্র কাইফি মীর (২২) ও মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া গ্রামের আবদুস সালাম বেপারীর পুত্র রবিন (২৬)।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানাযায়, ঢাকার কেরাণীগঞ্জের ষষ্ঠ শ্রেণি ও দশম শ্রেণির দুই কিশোরীর ফেসবুকে পরিচয় হয় আদনান ও রিফাত নামক ছেলের সাথে। কিছুদিন পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে প্রেমিক ওই কিশোরী দুজনকে শিমুলিয়া ঘাটে ঘুরতে নিয়ে আসেন। ঘাটে ঘুরানো শেষে গভীর রাতে যশলদিয়া পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্জন একটি ঘরে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এরপর বুধবার সকালে কিশোরী দুটি কেরাণীগঞ্জের তাদের বাসায় চলে যান। পরে ভুক্তভোগীদের পরিবার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ লৌহজং থানা পুলিশকে জানালে গত বুধবার রাতভর অভিযানে চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে ছয়জন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, ঘটনার বিবরণ পেয়ে বুধবার রাতভর অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ৬ যুবককে আটক করি। এ বিষয়ে লৌহজং থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরে আরেক অভিযুক্ত সোহেল(২৪) পলাতক রয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

---