পল্লবীতে চাঁদার টাকা না পেয়ে ৪ জনকে কুপিয়ে জখম

রাজধানীর পল্লবীতে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় পল্লবীর এভিনিউ-৫ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, পল্লবীর বাসিন্দা সাদ্দাম একজন শাড়ি ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের নেতা নামধারী কামরুল হাসান জয় তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে শাড়ি ব্যবসায়ী সাদ্দামের ছোটভাই ফয়াজকে এভিনিউ ৫ হাজি হোটেরে সামনে একা পেয়ে মারধর শুরু করে জয়। এসময় তার বন্ধুরা ফইয়াজকে বাচাতে চাইলে জয়, আশিক, মাহবুব,জুয়েল, আরজু, আকাশসহ শতাধিক সন্ত্রাসীরা ফইয়াজ, ইমরানসহ ৫ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কোপানো শুরু করে।
পরে এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ৫ জনের মধ্যে ফাইয়াজ ও ইমরানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে শুক্রবার (১৮ ডিস্মেবর) পল্লবী থানায় বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ফইয়াজের বড় ভাই মোঃ সাদ্দাম।
অভিযোগে বলা হয়, কামরুল হাসান জয় দীর্ঘদিন ধরে সাদ্দামের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গতকাল সাদ্দামের ছোট ভাই ফইয়াজকে কুপিয়ে অহত করেছে জয় ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আসাদ বলেন,সেখানে মারামারি হয়েছে, ৪ জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে এটা সত্য। কিন্ত চাঁদাবাজির যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা তদন্তের বিষয়। এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জয় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক উপ-স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিল কামরুল হাসান জয়। পল্লবী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি না হলেও নিজেকে সভাপতির পরিচয় দেয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সবসময় এলাকায় মারামারি-কোপাকোপির ঘটনা ঘটায় সে। র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কিলার মহসিনের সাথেও জয়ের সখ্যতার বিষয়টও বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। কিন্ত ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের ছত্রছায়ায় থাকায় জয়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।