ঢাকা বুধবার, ২৫শে জুন ২০২৫, ১১ই আষাঢ় ১৪৩২


পুঠিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিকাংশ কোয়ার্টার ফাঁকা


১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৭:১৪

ছবি-নতুনসময়

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিকাংশ স্টাফ কোয়ার্টার ফাঁকা পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে এসব কোয়াটারগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। গত দুই যুগের বেশী সময় ধরে এ অবস্থা চলছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে স্টাফদের থাকার সুবিদার্থে সরকার মোট ৬টি কোয়ার্টার নির্মান করেন। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা ও ডাক্তারদের জন্য স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে ২টি, দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য স্টাফ কোয়ার্টার ১টি, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য কোয়ার্টার ১টি এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য স্টাফ কোয়ার্টার রয়েছে ২টি। প্রথম শ্রেণীর কেরায়ার্টারে ১২ জনের মধ্যে থাকেন ৩জন, দ্বিতীয় শ্রেণীর কোয়ার্টারে ৬ জনের মধ্যে থাকেন ৩ জন, তৃতীয় শ্রেণীর কোয়ার্টারে ৬ জনের মধ্যে থাকেন ১জন এবং চতুর্থ শ্রেণীর কোয়ার্টারে একটিতে ৬জনের মধ্যে থাকেন ২জন বাকি একটি কোয়ার্টার দীর্ঘদিন থেকে কেউ বসবাস না করায় বসবাসের অযোগ্য হওয়া সংস্কারের জন্য প্রক্রিয়াধিন কয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিকাংশ স্টাফ স্থানীয় হওয়ার কারণে স্টাফ কোয়ার্টারগুলো ফাঁকা রয়েছে।

এসব স্টাফরা তাদের বাড়ি থেকে অফিস করেন বা যাদের বাড়ি উপজেলার বাহিরে বা অন্যত্র তাদের বেশির ভাগ বেসরকারী বাড়িতে ভাড়া থাকেন বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত অনেকেই জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত মতে স্টাফ কোয়ার্টারের থাকলে তাদের হাউস রেন্টের সবগুলো টাকাই কেটে নেওয়া হয়। অর্থাৎ ব্যাসিকের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া হিসেবে দিতে হয়। অথচ উপজেলা সদরের একটি বাড়ি ভাড়া নিতে তাদের কর্তনের অর্ধেক টাকায় পাওয়া যায়। একারণে অনেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়াটারে না থেকে ভাড়া বাসায় থাকেন। এতে প্রতি বছর সরকার ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার নাজমা আক্তার জানান, ডাক্তারসহ অধিকাংশ স্টাফ রাজশাহী বা আশেপাশের জেলা শহর থেকে যাতায়াত করেন। এছাড়াও অনেক স্থানীয় স্টাফ থাকায় তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন না। স্টাফ কোয়াটারে থাকার কোন বাধ্যবাধকতা নাই এবং কোয়াটারে থাকলে ব্যাসিকের একটা বড় অংশ হাউজ রেন্ট হিসেবে কেটে নেওয়া হয়। স্টাফ কোয়ার্টারে থাকার কোন বাধ্যবাধকতা নাই এবং কোয়ার্টারে থাকলে ব্যাসিকের একটা বড় অংশ হাউজ রেন্ট হিসেবে কেটে নেওয়া হয়। এ কারণে স্টাফ কোয়ার্টাগুলো ফাঁকা রয়েছে।