কক্সবাজারে একের পর এক ভেসে আসছে মৃত ডলফিন ও তিমি

করোনাকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে একের পর এক ভেসে আসছে মৃত ডলফিন ও তিমি। কেন এসব সামদ্রিক প্রাণী মারা যাচ্ছে? কারণ হিসেবে সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেলেদের অবৈধ জালের আঘাত তাদের মৃত্যু হচ্ছে। আর প্লাস্টিক বর্জ্যে সাগর দুষণ ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগেও মৃত্যু হতে পারে বলে ধারনা করছে বিশেষজ্ঞরা। কক্সবাজার ও সুন্দরবন উপকূলের কাছে ডলফিন, ফিনলেস পরপয়েস ও তিমির অবাধ বিচরণ। করোনার প্রাদুর্ভাবে গেল মার্চ থেকে সৈকত ছিল কোলাহলমুক্ত। নৌযান চলাচলও সীমিত। এই সুযোগে উপকূলে আনাগোনা বেড়েছে ডলফিন ও তিমির।
পরিবেশবাদী সংগঠনের তথ্য মতে, উপকূলে গেল এক দশকে ডলফিনসহ দুই শতাধিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। আর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কক্সবাজারেই ১৫টি ডলফিন, একটি তিমি ও ফিনলেস পরপয়েসের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডলফিন ও তিমির আশেপাশে প্রচুর মাছ থাকে- এই ধারনায় তাদের টার্গেট করে জাল ফেলছে জেলেরা। এ সময় আটকা পড়ে গুরুতর আহত বা শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হচ্ছে এসব স্তন্যপায়ী প্রাণীর।
সর্বশেষ ২২শে জুন শাহপরীর দ্বীপের গোলারচরে ভেসে আসে একটি মৃত তিমি। ময়নাতদন্তে জানা যায়, অগভীর জলে আটকা পড়ে প্রায় দুই টন ওজনের তিমিটির মৃত্যু হয়েছে। এরআগে আহত হয়ে ভেসে আসা আরও একটি তিমিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। বন্যপ্রাণী আইনে ১২টি সামুদ্রিক প্রাণি দেখভালের দায়িত্ব বন বিভাগের। কিন্তু তারা সঠিকভাবে তদারকি করছে না বলে অভিযোগ পরিবেশবাদীদের।