ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬শে আগস্ট ২০২৫, ১২ই ভাদ্র ১৪৩২


ভোলায় কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার অমানবিক আচরন


২৯ জুন ২০২০ ০১:৩২

ছবি সংগৃহীত

কিস্তির টাকা না দিতে পারায় গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার সদস্যের অমানবিক গালিগালাজপূর্ণ আচরনের অভিযোগ উঠেছে। করোনাকালীন এ দূর্যোগপূর্ণ সময়ে সাধারন মানুষের যেখানে দিন আনতে পানতা ফুরায়, সরকার যেখানে ওএমএস এর চাল ও ত্রান প্রদান করে ১৮ কোটি মানুষের প্রান রক্ষা করেছেন সেখানে কিস্তির টাকা সময় মতো পরিশোধ করতে না পারলে মানুষের সাথে পাশবিক আচরন করেন বলে অভিযোগ করেছেন বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডের ঋন গ্রহীতারা।

কিস্তি নেওয়া মোঃহানিফ জানান, "আমি একজন দৈনিক দিনমজুর।বাসে কাজ করি। আমি আমার ঘরটি নির্মানের জন্য গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা থেকে টাকা নিয়েছি।তবে আমি করোনার পূর্বে নিয়মিত তাদের টাকা পরিশোধ করেছি। করোনা কালীন সময়ে ৩-৪ দিন পরপর আমার বাস চলে।এতে যে টাকা পাই তাতে সংসার চালানোই অনেকটা কষ্টকর।এরমধ্যে আমার স্ত্রী অসুস্থ। তারপরে ও আমি নিয়মিত টাকা পরিশোধ করেছি।কিন্তু আজ আমি টাকা পরিশোধ করতে না পারায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার ফিল্ড অফিসার রাবেয়া বেগম আমার সাথে খুবই আমানবিক আচরন করে যা মেনে নেওয়া কষ্টকর"।

তবে ২৩ ই জুন বাংলাদেশ মাইক্রোক্রেডিট অথোরিটি কতৃক প্রকাশিত নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে করোনাকালীন এই সময়ে কোন ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতা তার ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে তার ওপর কোন প্রকার চাপ দেয়া যাবে না এবং ঋণ খেলাপি দেখানো যাবে না।

এসব কিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিয়মিত খেটে খাওয়া মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা এমনটাই অভিযোগ সাধারন মানুষের।

তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার উক্ত এরিয়া ম্যানেজার মোঃসাহাবুদ্দিন ও শালীনতাপূর্ণ আচরন না করে অসহনীয় আচরন করে।