ভোলায় আম্ফানের আঘাত: নিয়ে গেল ২ জনের প্রাণ

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে উঠে। জোয়ারের পানি কয়েক ফুট বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাধের বাইরের এবং বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে এছাড়াও অনেকের বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে গাছ চাপা পড়ে ও ট্রলার ডুবে ২ জন নিহত হয়েছে। এদিকে মনপুরা ও চরফ্যাশনের কলাতলিরচর, চরনিজাম, ঢালচরসহ কয়েকটি চরে বেড়িবাধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, জেলা ২১টি বিচ্ছিন্ন দ্বীপচর থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষ ও ১ লাখ ৩৬ হাজার গবাদিপশুকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। এদের জন্য নগদ ৭ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ভোলার চরফ্যাসনের দক্ষিণ আইচা এলাকায় ঝড়ের সময় গাছের নিচে চাপা পরে ছিদ্দিক ফকির (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ আইচা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অপর দিকে লক্ষ্মীপুরের মঝুচৌধুরীর ঘাট থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারযোগে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসার সময় ভোলার রাজাপুর এলাকায় কাছাকাছি এসে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি মারা যান। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায় বলে জানা গেছে। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।