ঢাকা বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেলের নেতৃত্বে মোহনপুরথানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে


২০ মে ২০২০ ০৬:৩৫

ছবি সংগৃহীত

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও মোহনপুরে জমে উঠেছিল ঈদবাজার। এটি বন্ধ করতে গতকাল ১৯শে মে (মঙ্গলবার) সকাল থেকে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেবের নির্দেশনায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে মোহনপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। কৃষিপণ্য, কাঁচাবাজার, ওষুধ, জরুরি সেবা ও খাবারের দোকান ব্যতীত বন্ধ হয়ে গেছে মোহনপুর উপজেলার সকল হাটবাজারও মার্কেট। কড়াকড়ি করা হচ্ছে রিকশা-অটোরিকশা, ভ্যানসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে। উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে সচেতনমহলে। তারা বলছেন, গত কয়েকদিন মার্কেট-দোকানপাট খোলার কারণে মোহনপুরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। কেননা তখন মার্কেটে সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছিল না। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে ঈদের কেনাকটায় মেতেছিলেন অনেকে। এখন প্রশাসনের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন মোহনপুর উপজেলার সচেতন নাগরিকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের এমন ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন তারা করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। সেদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট খুলেছে। এ অবস্থায় সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজশাহীর সকল উপজেলার মত মোহনপুর উপজেলাতে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর সার্কেল) সুমন দেবের নির্দেশনায় মাঠে নামেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে নামেন। অপরদিকে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক গণমাধ্যমকে জানান, জনসমাগম ঠেকানো যাচ্ছিল না বলেই জনস্বার্থে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে অভিযান শুরু হয়েছে। রাজশাহীর সকল উপজেলাতেও একইভাবে মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ করা হচ্ছে। তবে কৃষিপণ্য, কাঁচাবাজার, ওষুধ, জরুরি সেবা ও খাবারের দোকান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলেও জানান তিনি। রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২১ জন। এর মধ্যে ছয়জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন একজন। গোদাগাড়ী ও চারঘাট উপজেলা ছাড়া জেলার সবখানেই ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। রাজশাহী মহানগরীতে শনাক্ত হয়েছেন একজন। রাজশাহী মহানগরীর খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার এক করোনা রোগী চিকিৎসাধীন