কক্সবাজারে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিল ছাত্রলীগ

করোনার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে হরেক পেশার মানুষের পাশাপাশি কৃষকও। কঠোর পরিশ্রমের ফলে অধিক ফসল ফলানোর পরও শ্রমিকের অভাবের সেই ফসর ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষক। আর এই অসহায় কৃষকের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের একাংশ।
গত কয়েক দিন ধরে শ্রমিকের অভাবে দুই কানি(৮০ শতক) জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছিলনা কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন নামের একজন অসহায় দরিদ্র কৃষক। পাকা ধান পড়ে আছে ফসলের মাঠে। করোনায় শ্রমিক ও অর্থ সংকট। যেকারনে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে ছিলেন চরম দুশ্চিন্তায়। অবশেষে গত দুই দিন ধরে ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে দরিদ্র এই কৃষকের দুশ্চিন্তা দূর করে দিলেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের উপ-গণযোগাযোগ সম্পাদক ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিফ কবিরের নেতৃত্বে ২০ সদস্যয়ের ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) ধান কাটা শেষে ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিফ কবির সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে জননেত্রী, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ পালনে সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজার জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রলীগ পর্যন্ত বর্তমানে অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসেবে আমি ব্যতিক্রম নয়। ইতিপূর্বে জেলার অনেক কৃষকের ধান আমরা ঘরে তুলে দিয়েছি। বর্তমানে অব্যাহতভাবে তা চালিয়ে যাচ্ছি।
অসহায় কৃষক ধান চাষী জসিম উদ্দিন জানান, ছাত্রলীগের নেতারা দুই দিনে দুই কানি পরিমাণের ফসল কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাতে আমার যেমন অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। ঠিক তেমনি শ্রমিকের অভাব নিয়ে যে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তাও দুর হয়েছে। আমি(জসিম) ছাত্রলীগের উপর খুবই খুশি।
কৃষক আরো জানান, এবার দুই কানি (৮০ শতক) জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। ক্ষেতের ফসলে পাক ধরেছিল এক সপ্তাহ হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার মজুরের অভাব ছিল প্রকঢ়। এ অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিফ কবির খবর পেয়ে নিজের নেতৃত্বে ২০ জন ছাত্রলীগ নেতা নিয়ে আর্কস্মিক কাঁচি হাতে আমার যে উপকার করেছে তা কখনো ভুলার নয়। এদিকে ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগে পুরো জেলা জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রচীনতম এই ঐতিহাসিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।