রামুতে হাটে-ঘাটে জনযট বাড়াচ্ছে করোনা ঝুঁকি

কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে।বৃহস্পতিবার সপ্তাহিক বাজারের দিন থাকায় সকাল থেকে বাজারে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। কেউ মানছে না সরকারের নিয়মনীতি। যার ফলে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। কার্যত কক্সবাজার জেলা লকডাউন থাকলেও এই আইন মান্য করা হচ্ছে না গর্জনিয়া বাজারে। জানা যায়-গত সোমবার গর্জনিয়া বাজার সরিয়ে কচ্ছপিয়া ষ্টীল ব্রীজের নিচে নতুন করা বাজার বসানো হয়েছিল। পরে ইউএনওর নির্দেশে গর্জনিয়া বাজারের দক্ষিণপাশে বাজার বসানোর সিদ্ধান নেওয়া হয়। কিন্তু বাজার ইজাদারের ইন্দনে স্থানীয় তহশীলদার আবছার কামাল ম্যানেজ হয়ে গর্জনিয়া বাজারের ভিতরেই মাছ বাজার এবং কাঁচাবাজার বসিয়ে দেন। যার ফলে মানুষের ঠাসাঠাসি বেড়ে যায়। স্থানীয় ভূমি অফিসের তহশিলদার আবছার কামাল বলেন- তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন- ইজারার টাকা আদায়কে কেন্দ্র করেই মূলত জনযট তৈরী হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতে বাজার ইজারামুক্ত রাখার দাবি জানান তারা। কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাইল নোমান বলেন- তিনি বাজার পরিদর্শন করে জনযটের বিষয়টি ইউএনও স্যারকে আবগত করেন। পরে চেয়ারম্যান ইউএনও স্যারের নির্দেশে মাছ বাজার সরাতে গ্রাম পুলিশের সদস্যদের পাঠিয়েছেন। তিনি বাজার অব্যবস্থাপনাকারীদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন- নিরাপদ স্থানে গর্জনিয়া বাজার সরিয়ে জনযটমুক্ত করতে প্রশাসন কাজ করছে।