নকল স্বর্ণে বিয়ে করতে গিয়ে গণপিটুনীর শিকার বর

নারায়নগঞ্জে দেড় লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে নকল স্বর্ণের গহনা দিয়ে বিয়ে করতে এসে গনপিটুনির শিকার হয়েছে বর মো: হৃদয় মিয়া (২০)। পন্ড হয়ে যায় বিয়ে। পরে সালিশ বৈঠকে বর পক্ষকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন গ্রাম্য মাতবরা। প্রতারক বর হৃদয় মিয়া বৌ ছাড়াই বাড়ি ফিরেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকায়। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর তথ্যমতে, বন্দর উপজেলা ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের নয়ামাটি এলাকার আলম মিয়ার কন্যা ইতি আক্তারের (১৮) সাথে পাশ^বর্তী মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের তাজপুর এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে হৃদয়ের বিয়ে ঠিক হয় ঘটকের মাধ্যমে। বিয়েতে কন্যাকে ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেয়ার কথা বলে কনে পক্ষ থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে হাতিয়ে নেয় বর পক্ষ। এবং বিয়ের দিন ধায্য করা হয় গত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার। যথারীতি শুক্রবার বিয়েতে বর পক্ষের লোকজন আসে। এবং খাওয়া দাওয়া শেষ করে। পরে বিয়ের কাবিন করতে তারা কাজীর কাছে উপস্থিত হয়। এদিকে বিয়ে পড়ানোর মুহুর্তে স্বর্ণলংকার দেখতে চান কনে পক্ষের-স্বজনরা। এতে বিয়ের র্শত মোতাবেক ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা বের করে দেন বর পক্ষের লোকজন। এসময় গহনা নকল বলে চিহ্নিত করেন কনের-স্বজনরা। শুরু হয় উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা। পরবর্তীতে স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে স্বর্ণালংকার পরীক্ষা করা হয়। সেখানে সবগুলো গহনা নকল এবং স্বর্ণের তৈরী না বলে জানিয়ে দেয় স্বর্ণকার। পরে এলাকাবাসী ও কনের আত্মীয়-স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে বর এবং ঘটককে গনপিটুনি দিয়ে বিয়ে পন্ড করে দেয়।
এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিয়ে বাড়িতে ছুটে যায়। এবং সালিশ বৈঠকে বসেন উভয় পক্ষের গ্রাম্য মাতবরা। সালিশ বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যেকার অভ্যন্তরীন সকল দেনা পাওনা এবং কনে পক্ষের ক্ষতিপূরণ বাবদ বর পক্ষকে আগামী ৪০ দিনের মধ্যে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সালিশ বৈঠকের পর রাতে বর প্রতারক হৃদয় মিয়া বউ ছাড়াই একা বাড়ি ফিরে যায়। এ ঘটনায় মুছাপুর ও ধামগড় দুই ইউনিয়নবাসীসহ উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে।
বন্দরের ধামগড় ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাফেজ আইয়ূব আলী বলেন, শুক্রবার রাতে বিয়েতে বর পক্ষের লোকজনদের খাওয়া দাওয়া শেষে বিয়ে পড়ানো শুরু করে কাজী। বিয়ে পড়ানোর আগ মুহুর্তে স্বর্ণালঙ্কার দেখতে চান কনে পক্ষের আত্মীয়-স্বজনরা। বিয়ের র্শত মোতাবেক ৪ ভরি স্বর্ণের গহনা বের করে দেন বর পক্ষের লোকজন। তবে গহনা নকল বলে চিহ্নিত করেন কনের আত্মীয় স্বজনরা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। পরবর্তীতে স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে স্বর্ণ পরীক্ষা করলে সবগুলো গহনা নকল এবং স্বর্ণের তৈরী না বলে জানিয়ে দেয় স্বর্ণকার। পরে এলাকাবাসী ও কনের আত্মীয়-স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। তারা বর এবং ঘটককে গণপিটুনি দিয়ে বিয়ে পন্ড করে দেয়।
এ খবর পেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিয়ে বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। কনে পক্ষে ধামগড় ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাফেজ আইয়ূব আলী এবং বর পক্ষে মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নতুনসময়/এসএম