গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গৃহবধূ আরতি রাণীকে ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে দুজনকে পাঁচ লাখ এবং পাঁচজনকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড.এ.বি.এম. মাহমুদুল হক এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আক্কেলপুর উপজেলার মারমা গ্রামের সোহেল তালুকদার, দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন, দেওড়া গুচ্ছগ্রামের রাহিন, দেওড়া সাখিদার পাড়ার ফেরদৌস আলী, দেওড়া সোনারপাড়ার মজিবর রহমান, জগতি গ্রামের রুহুল আমীন ও দেওড়া গুচ্ছগ্রামের আজিজার রহমান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের আট অক্টোবর রাতে দেওড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্রের উজ্জ্বল মহন্তের স্ত্রী আরতী রাণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসামিরা গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে আরতী রাণী মারা যান। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর আরতী রাণীর স্বামী উজ্জ্বল মহন্ত বাদী হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সাতজনকে আসামি করে আক্কেলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলায় দীর্ঘ শুনানি শেষে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সকল আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামি সোহেল ও ফেরদৌসকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অন্য সকলের এক লাখ টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেন।
সরকারপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী এবং বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলাম তালুকদার রতনসহ পাঁচজন। জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নতুনসময়/এসএম