ঢাকা শনিবার, ১৭ই মে ২০২৫, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হলো চতুর্থ শ্রেণি শিক্ষার্থীকে


৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:৩৩

নতুন সময়

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জেসমিন আক্তার জেমি নামে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোনারায় ইউনিয়নের কাজী শাহ আলমের সহকারী আ. মতিন মিয়া বাবলু উপস্থিত থেকে এ বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করেন। কনে জেসমিন আক্তার জেমি উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ফতেখাঁ গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের মেয়ে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) গভীর রাতে মেয়ের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বাল্যবিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন উভয় পক্ষের লোকজন। আর ২৫ বছরের যুবকের সাথে ১২ বছরের কিশোরীর বিয়ের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানােগেছ,শিবরাম আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। আর পাত্র খায়রুজ্জামান মিয়া একই ইউনিয়নের বলরাম গ্রামের মৃত খুজিয়া শেখের ছেলে। আ. মতিন বাবলু কাজী একই ইউনিয়নের পূর্ববৈদ্যনাথ গ্রামের মৃত আ. খালেক মিয়া মুন্সির ছেলে।

এ ব্যাপারে কাজী শাহ আলম বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার বয়স কম হওয়ায় আমি রেজিস্ট্রি করিনি। আমি সহকারী কাজীকে নিষেধ করেছি যেন বিয়ে রেজিস্টার না করেন।

সহযোগী কাজী আ. মতিন বাবলু বাল্যবিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমি মূল কাজীর নির্দেশনা অনুযায়ী চলে এসেছি। তারা পরে বিয়ে দিয়েছে কি না আমার জানা নেই।

জেসমিন আক্তার জেমি চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন বলেন, বাচ্চাটি সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর ক্লাসে উপস্থিত ছিল। এরপর খোঁজ নিয়ে দেখি পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়েছে।

সোনারায় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বদিরুল আহসান সেলিম বলেন, বাল্যবিয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সোলেমান আলী বলেন, কোথায় বিয়ে হয়েছে আমার জানা নেই। যদি কোথাও বিয়ে হয়ে থাকে, আর যদি সেটা বাল্যবিয়ে প্রমাণিত হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুনসময়/এসএম