নোয়াখালীতে স্পিরিট পান করে ছয় জনের মৃত্যু

নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্পিরিট পান করে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ছয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশ জানার আগেই নিহত তিনজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে আরও ২ জনের দাফন এখনও সম্পন্ন হয়নি। পরে পুলিশ খবর পেয়ে রবি লাল রায়’র মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং আরও একজনের মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
বসুরহাট বাজারের পান বাজার সংলগ্ন রফিক হোমিও হলের স্পিরিট পান করে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতার ছেলে প্রিয়মকে আটক করেছে। তবে স্পিরিট বিক্রেতা ডা. জায়েদ ঘটনা আঁচ করতে পেরে আগেই গা ঢাকা দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দোকানের মালিক জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়ম অনেক বছর ধরে খোলামেলাভাবে এ হোমিও হল দোকানে স্পিরিটসহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করে আসছে। সে এই স্পিরিট বিক্রির টাকায় কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মাণ করছে বহুতল ভবন।
এ বিষয়ে কোম্পানিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান পাঁচজনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাঁশ বেপারি বাড়ির নূর নবী মানিক (৫০), একই এলাকার ক্ষিরত মহাজন বাড়ির রবি লাল রায় (৫৫), মোহাম্মদনগর গ্রামের মহিন উদ্দিন (৪০), চর কাঁকড়া ইউয়িনের টেকের বাজার এলাকার আদুল খালেক (৫৮) ও সিরাজপুর ইউনিয়নের মতলব মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন মো. সবুজ (৬০)।