ছাত্রলীগের কেউ টেন্ডার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা

ছাত্রলীগের কারও বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। ছাত্রলীগ কোনো অন্যায়কারী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজকে প্রশ্রয় দেবে না।
কেউ চাঁদাবাজি করে ছাত্রলীগের দুর্নাম করছেন, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবেন। রবিবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন ঘোষণা দেন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাত্রলীগকে পরিচালিত করব। তিনি যেভাবে বলবেন ঠিক সেই ভাবেই ছাত্রলীগ চলবে। নেতিবাচক কাজের জন্য কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা ১৩ মাস সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব পেয়েছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অর্পিত দায়িত্ব পালন করব। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের দিক নির্দেশনায় আমরা কর্মপদ্ধতি ঠিক করব।
তিনি আরও বলেন, আমি এবং সাধারণ সম্পাদক বসে আমরা ছক আঁকব কিভাবে ছাত্রলীগকে চালানো যায়। আমাদের সামনে ১০ মাসের মত সময় আছে। আমরা অতি দ্রুতই বিভিন্ন শাখা কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন সম্মেলনের মাধ্যমে যুগোপযোগী নতুন কমিটি দিব।
ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিতর্কের দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি কতখানি ক্ষুণ্ন করেছে এমন প্রশ্নের সরাসরি কোন জবাব না দিয়ে জয় বলেন, যদি ছাত্রলীগের ভাবমূ্র্তি ক্ষুণ্ন হয়ে থাকে তবে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পারব।
উল্লেখ্য সাম্প্রতিক নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে গতকাল শনিবার বাদ দেওয়া হয়। তাঁদের পরিবর্তে গতকাল রাতেই জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল নাহিয়ান খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।