ঢাকা শনিবার, ১৭ই মে ২০২৫, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি দুই রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত


১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৩৪

ছবি সংগৃহিত

কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরও দুই রোহিঙ্গা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তারা দুজনই যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার জাদিমুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- টেকনাফ নিবন্ধিত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ব্লকের ৩৫১২২ নম্বর এমআরসিধারী ৮৮০/৬০ নম্বর সেডের ১/২ নম্বর রুমের বসবাসকারী সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহাম্মদ ওরফে নেছার ডাকাত (২৭) ও একই ক্যাম্পের সি ব্লকের ৪৫৯৫০ নম্বর এমআরসিধারী ৮৩৮ নম্বর সেডের ১ নম্বর রুমের বসবাসকারী জমির আহম্মদের ছেলে আব্দুল করিম ওরফে করিম ডাকাত (২৪)। নিহত দুই জন মিয়ানমারের মংডু পুইমালী ও হাইসুরাতা এলাকার বাসিন্দা।

এ নিয়ে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাকাত নুর মোহাম্মদসহ পাঁচজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো। পুলিশের দাবি, এসময় তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও রবিউল ইসলাম।

টেকনাফ থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় চাইল্ড ফেন্ডলি স্পেস অফিসের পেছনে পাহাড়ের ওপরে পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থান নিয়েছে- এমন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি দল নিয়ে অভিযান চালাই। এ সময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে অস্ত্রধারী দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল নাবিল ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম আহত হন। জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিই। পুলিশ ২৮ রাউন্ড গুলি করে।

প্রসঙ্গত, গত ২২ আগস্ট রাতে একদল রোহিঙ্গা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে পাহাড়ের কাছে গুলি করে হত্যা করে।