রাজউক স্কুলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সেফুদাকে নিয়ে প্রশ্ন, ফেসবুকে ভাইরাল!

সোশ্যাল মিডিয়ার একটি আলোচিত-সমালোচিত নাম সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। দেশের যেকোনো সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে নানা অসংগতিপূর্ণ এবং অশ্লীল মন্তব্য করে রাতারাতি ‘তারকা’ বনে যান তিনি। ফলে তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অনেকের দ্বারাই তীব্রভাবে সমালোচিত হন।
ভার্চুয়াল জগতে লাইভে এসে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার সময় তার কিছু বিশেষ ডায়ালগ তরুণ প্রজন্মের অনেক ছেলে-মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হয়। এসব ডায়ালগের মধ্যে উল্লেখযোহ্য- ‘মদ খা, মানুষ হ’, ‘কী? হিংসে হয়, আমার মতো হতে চাও’ ইত্যাদি।
সম্প্রতি দেশের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজউক স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা প্রশ্নপত্রে সেফুদাকে উল্লেখ করে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয়। যে প্রশ্নটি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ প্রশ্ন দিয়েই সোমবার (৮ জুলাই) পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রটি পড়ে দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের প্রথম প্রশ্নটিই করা হয়েছে সেফুদাকে নিয়ে। প্রশ্নে বলা হয়, অদ্ভুত এক ধরনের মানুষ সেফাতুল্লাহ সেফুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বিভিন্ন ধরনের কুরূচিপূর্ণ মন্তব্য করে। তরুণদের উদ্দেশে সে বলে-‘মদ খাবি মানুষ হবি। দেখ আমি আরও এক গ্লাস খাইলাম। তার কথার প্রতিবাদ করে একজন বিজ্ঞ আলেম বললেন, ‘তার মধ্যে যদি ইমানের সর্ব প্রথম ও সর্বপ্রধান প্রভাব পরিলক্ষিত হতো, তাহলে সে হয়ে উঠত একজন আত্মসচেতন ও আত্মমর্যাদাবান এক ব্যক্তি।’
এ উদ্দীপক থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে- ‘আকাইদ কী?, ‘ইসলামের নাম ইসলাম রাখা হয়েছে কেন?’, ‘বিজ্ঞ আলেমের বক্তব্যে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা ব্যাখ্যা করো’।‘ঘ’নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে, তরুণদের উদ্দেশে দেয়া সেফুদার বক্তব্য কীসের শামিল? এর ফলাফল বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্নপত্রে এ রকম একজন বিতর্কিত ব্যক্তির নাম কেন-এমন প্রশ্নের জবাবে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। হয়তো এটি ভুলবশত হয়ে গেছে। আমি এখন বাইরে একটি মিটিংয়ে রয়েছি, কলেজে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
নতুনসময়/এমএন