গোপালগঞ্জে শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেললো চিকিৎসক!

গোপালগঞ্জে খতনা করতে গিয়ে ৪ বছরের এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন এক চিকিৎসক। ওই শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত ওই শিশুর নাম তামিম মাহমুদ। সে শহরের আরামবাগের এলাকার তারেক মাহমুদের ছেলে।
বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় শহরের কলেজ মসজিদ সড়কের ডা. হাফেজ মাহফুজুর রহমানের মালিকানাধীন জিম ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির বাবা তারেক মাহমুদ জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ১০টায় তার শিশুকে সুন্নতে খতনা করার জন্য শহরের জিম ক্লিনিকে আনা হয়। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ওই ক্লিনিকের মালিক ডা. হাফেজ মাহফুজুর রহমানের সুন্নতে খতনা দেয়ার জন্য অপারেশন থিযেটারে নেন। খতনার সময় ওই চিকিৎসক আমার ছেলের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছেন।
পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা নিয়ে যেতে বললে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক (সার্জারি) অনুপ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ সংরক্ষণ করে ওই শিশুকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে মাইক্রো সার্জারি করাতে পারলে এটি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযুক্ত চিকিৎসক হাফেজ মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, এটি একটা দুর্ঘটনা। শিশুকে সুন্নতে খতনা দেয়ার সময় সে হাত-পা ছোড়াছুড়ি করার ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। এটি দুঃখজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
নতুনসময়/এমএন